বাংলালিংক-রবি-সিটিসেলের ব্যাংক হিসাব

Author Topic: বাংলালিংক-রবি-সিটিসেলের ব্যাংক হিসাব  (Read 969 times)

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় সেলফোন অপারেটর বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৭১৪ কোটি টাকা রাজস্ব পাওনা পরিশোধে গত সপ্তাহে চার সেলফোন অপারেটরকে শেষ আল্টিমেটাম দেয় এনবিআর। সাত দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ব্যাংক হিসাব জব্দ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন টাকা পরিশোধ করলেও বাকি তিন অপারেটর টাকা জমা দেয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তিন অপারেটরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। যদিও ব্যাংক হিসাব জব্দ না করতে এসব অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তারা তদবির করলেও তাতে কান দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এনবিআরের এক কর্মকর্তা।

ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টি স্বীকার করে সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে শুনেছি। এখনো এর কপি দেখিনি। রোববার অফিস খুললে বিষয়টি সমাধানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’

বিষয়টি সম্পর্কে বাংলালিংকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, ‘অর্থ দাবির সমর্থনে আদালতের আদেশের কপি এখনো দিতে পারেনি এনবিআর। তবে আমাদের কয়েকটি ব্যাংক এনবিআরের চিঠি পেয়েছে। এতে যে টাকা দাবি করা হয়েছে, তা ২০০৬ সাল থেকে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, টাকা দাবি করে এনবিআরের এ ধরনের চিঠি দেয়া ঠিক হয়নি। আগামী রোববার আদালতে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করবে বাংলালিংক।’

রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন বাবর বলেন, বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের কাছে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে আগামী রোববার।

একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ রবির কাছে ১৮১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, বাংলালিংকের কাছে ১৬৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ও সিটিসেলের কাছে ৪৭ কোটি ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে এনবিআরের। ৫ সেপ্টেম্বর বণিক বার্তায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর গ্রামীণফোন ৩৪৮ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ করে।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, সরকারের রাজস্ব পাওনা পরিশোধে দেশের তিন সেলফোন অপারেটর টালবাহানা করছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি টাকা পরিশোধে এনবিআরের বেঁধে দেয়া দ্বিতীয় দফা সময় শেষ

হলেও তারা গড়িমসি করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, উচ্চ আদালতের সার্টিফায়েড কপি না আসা পর্যন্ত অর্থ পরিশোধ সম্ভব নয়। কিন্তু যেহেতু এ ধরনের চূড়ান্ত সার্টিফায়েড কপি পেতে কখনো কখনো কয়েক বছরও সময় লাগে, সে কারণে সরকারের এত বড় পাওনা ঝুলিয়ে রাখা যায় না বলে মনে করছে এনবিআর। এ কারণে বেঁধে দেয়া সময়ে অর্থ পরিশোধ না করায় ৫৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এনবিআরের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগেও সেলফোন অপারেটররা অর্থ দিতে গড়িমসি করেছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাব জব্দ করে সেই অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এবারও এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সিম কার্ড বা রিম কার্ডের সরবরাহ মূল্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ সেলফোন অপারেটরদের কাছে বড় অঙ্কের পাওনা দাঁড়ায় এনবিআরের। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও চলে। কিন্তু গত ১ আগস্ট এনবিআরের পক্ষে মামলার রায় দেন আদালত।

“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU