দেশের সর্ব শেষ মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেল তাদের জন্যে বরাদ্দ অতিরিক্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এমন প্রমাণ পেয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তাদেরকে একটি কারণ দর্শানো নোটিশও দেওয়া হয়েছে। ত্রিশ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জিয়া আহমেদের মৃত্যুর আগে কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরকে দেওয়া এটিই শেষ নির্দেশনা।
তবে চিঠিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দের বাইরে স্পেকট্রাম ব্যবহার করে এয়ারটেল টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গ করেছেন। এর ফলে তাদের আইনগতভাবেই তাদেরকে ৩’শ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মোঃ নূরুন্নবী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২২ জুন রাজশাহী জেলার কেশবপুর পুলিশ লাইন এলাকায় বরাদ্দহীন স্পেকট্রাম ব্যবহারের ২০০ কিলোহার্টজের দুটি চ্যানেলের উপস্থিতি পায়। সেখানে এয়ারটেল ১৭’শ ব্যান্ডে স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। পরের দিন আবারো একই স্থানে পরীক্ষা করা হলে একই তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এই ব্যান্ডে তাদের কোনো স্পেকট্রাম বরাদ্দ নেই।
তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে বেশী কিছু আইনগত ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আইনটি হলো:
আইন ২০১১-এর ধারা ৫৫(৭)-এ নিম্নলিখিত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে -
"কোনও ব্যক্তি উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে লাইসেন্স ব্যতিরেকে বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করিলে তাহার উক্ত কাজ হইবে অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদন্ডে, বা অনধিক ৩০০ কোটি টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহতভাবে সংগঠিত হইলে অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।"