প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। অত্যন্ত মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কানাডা সমগ্র দুনিয়ার শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত কাঙ্খিত একটি দেশ।
সাধারনত নিম্নলিখিত ডিগ্রীসমূহ অর্জনের নিমিত্তে ছাত্রছাত্রীরা কানাডায় পাড়ি জমায়:
ব্যাচেলর ডিগ্রী
মাস্টার্স ডিগ্রী
ডক্টরেট ডিগ্রী
কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে আবেদন করবেন:
সরাসরি প্রতিষ্ঠানের এডমিশন অফিসে বিস্তারিত তথ্যের জন্য মেইল করুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
এডমিশন অফিস থেকেই আপনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য যেমন: প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সাধারনত ১ বৎসর সময় হাতে রেখে শুরু করতে হয়।
সাধারনত আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার ৬-৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।
সাধারনত ৩টি সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়:
ফল সেমিস্টার : সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর
উইন্টার সেমিস্টার: জানুয়ারী থেকে এপ্রিল
স্প্রিং/সামার সেমিস্টার: মে থেকে আগষ্ট
বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার শিক্ষাগত, ভাষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা:
কোর্সের নাম শিক্ষাগত যোগ্যতা ভাষাগত যোগ্যতা মেয়াদ
এসোসিয়েট ডিগ্রী কমপক্ষে ১২ বৎসরের শিক্ষা সমাপন টোফেল স্কোর সিবিটি- ১৭৩-২৫০ অথবা আইবিটি ৬১-১০০ তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জি ম্যাট প্রয়োজন হতে পারে ২ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি
ব্যাচেলর ডিগ্রী কমপক্ষে ১২ বৎসরের শিক্ষা সমাপন ঐ ৪ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি
মাষ্টার্স ডিগ্রী কমপক্ষে ১৬ বৎসরের শিক্ষা সমাপন ঐ ২ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি
ডক্টরেট ডিগ্রী মাষ্টার্স/এম,ফিল পর্যায়ের শিক্ষা ঐ ৩-৬ বৎসরের পূর্নকালীন স্টাডি
বিষয়সমূহ:
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অধ্যয়ন করতে পারেন।
শিল্প ও শিল্প ইতিহাস
জীববিদ্যা
রসায়ন
কম্পিউটার বিজ্ঞান
ভূ-মন্ডল ও পরিবেশ বিজ্ঞান
অর্থনীতি
ফিল্ম ও মিডিয়া স্টাডিজ
ইতিহাস
ভাষাবিদ্যা
গণিত
ফলিত গণিত
পরিসংখ্যান
আধুনিক ভাষা ও সংস্কৃতি
সঙ্গীত
দর্শন
পদার্থ বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
রাসায়নিক প্রকৌশল
প্রান রসায়ন
যন্ত্রকৌশল
তড়িৎ প্রকৌশল
বংশগতিবিদ্যা
এম,বি,এ
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
আইন ইত্যাদিসহ আরো অনেক বিষয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
পূরনকৃত আবেদনপত্র
আবেদন ফি পরিশোধের প্রমানপত্র
পূর্বতন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ইংরেজী সংস্করন। শুধুমাত্র অনুমোদিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিলিখন সম্পন্ন হতে হবে।
স্কুল/কলেজের ছাড়পত্র
টোফেল পরীক্ষার ফলাফলের সনদ
প্রয়োজন সাপেক্ষে জি আর ই, স্যাট বা জি-ম্যাট এর ফলাফলের সনদ।
পাসপোর্টের ফটোকপি
অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য;
টিউশন ফি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই টিউশন ফি ১১০০০ থেকে ২০০০০ মার্কিন ডলার। প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই খরচ প্রায় ৩০০০০ মার্কিন ডলার
স্নাতক পর্যায়ে গবেষনার জন্য কোন আর্থিক সহায়তা সাধারনত দেয়া হয় না।
মাষ্টার্স ও ডক্টরেট পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী উভয় প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাসস্থান ও অন্যান্য খরচ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাসস্থান ও অন্যান্য খরচ বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৪০০০ থেকে ১০০০০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন হয়।
চিকিৎসা বীমা:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় বাৎসরিক ৫০০ থেকে ১০০০ মার্কিন ডলার।
কাজের সুযোগ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নকালীন চাকুরী করার কোন সুযোগ নেই; তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ক্যাম্পাসভিত্তিক চাকুরীতে নিযুক্ত হওয়া সম্ভব। তবে তার আয় দ্বারা আপনার শিক্ষাব্যয় বা জীবনযাত্রার ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।
সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন ছাত্র/ছাত্রী নিম্নলিখিত কাজগুলো করে প্রতি ঘন্টায় ৬ থেকে ২৫ ডলার উপার্জন করতে পারে।
ক্লিনিং
নৈশ পাহারা
ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরী বা অফিসে কাজ করা
শিশু পরিচর্যা
বারটেন্ডিং
ওয়েটিং সার্ভিস
ফল আহরণ
পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করা
লন্ড্রীতে কাজ করা
(Collected)