দেশে ভিওআইপির মাধ্যমে অননুমোদিত ‘কল টারমিনেশন’- এর রাশ টেনে ধরার লক্ষ্যে বেআইনি ‘কল’ চিহ্নিত করতে নতুন সফটওয়্যার চালু করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিটিআরসি। ‘টেলিকমিউনিকেশন ট্রাফিক মেজারমেন্ট অ্যান্ড অ্যান্টি ফ্রড সিস্টেম’ নামক নতুন সফটওয়্যার মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে ‘কল ভলিউম’ এবং ‘কল সোর্স’ সহ যেকোন ধরনের বেআইনি ‘কল’ চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি’র কর্মকর্তারা।
বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, নতুন ব্যবস্থা চালু করার জন্য তারা বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘টেলিকমিউনিকেশন ট্রাফিক মেজারমেন্ট অ্যান্ড অ্যান্টি ফ্রড সিস্টেম’- এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বেআইনি ‘কল টার্মিনেশন’ চিহ্নিত করতে সক্ষম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান তদারকি ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র বেআইনি ‘কল টার্মিনেশন’ তদারক করা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে ‘কল টার্মিনেশন’- এর প্রকৃত উৎস চিহ্নিত করা যায় না। কেননা সাম্প্রতিককালে আধুনিক ও বিশেষায়িত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ‘কল টার্মিনেশন’ করা হয়ে থাকে।
বিটিআরসি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ৫৫- ৬০ মিলিয়ন(৫/৬ কোটি) মিনিট ‘ভিওআইপি কল’ গ্রহণ করে থাকে এবং এর মধ্যে ১০ মিলিয়ন কল বেআইনি পথে হয়ে থাকে।
দেশের টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে প্রতিটি আন্তর্জাতিক ‘কল’ থেকে সরকার তিন সেন্ট করে পেয়ে থাকে। কিন্তু অবৈধ ভিওআইপি’র জন্য সরকার বছরে আট বিলিয়ন টাকা থেকে বঞ্চিত হয়।