31st year of Internet

Author Topic: 31st year of Internet  (Read 985 times)

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
31st year of Internet
« on: January 04, 2013, 05:22:05 PM »
৩১ বছরে পা দিলো পৃথিবীর বহুল জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারনেট। পৃথিবীর রং বদলে দিতে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা ইন্টারনেট সেবা প্রথম চালু হয় ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি। ৩০ বছর পেরিয়ে ৩১ বছরে পা রাখা এই ইন্টারনেট সেবা ত্রিশ দশক সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও সম্প্রতি তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল জাতিসংঘ। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যর মতো দেশগুলো তার বিরোধিতা করলে অবশেষে আরও দুই বছরের জন্য ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।



ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্যাটা আদান-প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অনেকে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে সমার্থক শব্দ হিসেবে গণ্য করলেও প্রকৃতপক্ষে শব্দদ্বয় ভিন্ন বিষয় নির্দেশ করে। ইন্টারনেট ইন্টারনেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়।

ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন বক্তৃতায় প্রায়ই কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিপরীতে, ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিষেবাগুলির একটি। এটা পরপরসংযুক্ত কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের, হাইপারলিংক এবং URL-দ্বারা সংযুক্ত। ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রচলিত আরপানেটের বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টারনেট প্রটোকল স্যুট (আইপিএস) যোগাযোগব্যবস্থা চালু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ। দিনটিকে প্রতিরক্ষা বিভাগ পালন করে ফ্ল্যাগ ডে হিসেবে। একই সঙ্গে অনেক তথ্য পাঠানো প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি ইন্টারনেটে নিয়ে আসে আরও বড় পরিবর্তন। কম্পিউটার গবেষক টিম বার্নারস লি এ ধারণাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন অতিপরিচিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পদ্ধতি। লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউসিএলএ) ও স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে জন্ম হয় বৈপ্লবিক আরপানেট প্রযুক্তির।



আরও ক্ষমতাশালী ও ইচ্ছামতো ব্যবহারোপযোগী আইপিএস প্রযুক্তির ওপর গবেষণা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এখানেই উদ্ভাবন হয় ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকলের (টিসিপি)। নাজুক নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল প্রোগ্রামের (এনসিপি) বদলে নতুন এ পদ্ধতির ব্যবহারও শুরু হয় কয়েক বছরের মধ্যে। এতে নিশ্চিত করা হয় যে, একটি কম্পিউটার নষ্ট হলেও যেন অন্য কম্পিউটারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ না হয়। তাতে একটি কম্পিউটার আক্রান্ত হলেও বাকিগুলো নিরাপদ থাকে। তাতে যোগাযোগ পদ্ধতির বিশ্বস্ততা ও কার্যকারিতাও বেড়ে যায় বহু গুণ।

১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারির আগের নেটওয়ার্ক থেকে নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থায় সরে আসা সম্পদ হয়। তাতেই জন্ম হয় ইন্টারনেটের। উল্লেক্ষ্য, ষাটের দশকে প্রথম কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারের তথ্য আদান-প্রদানের নতুন একটি পদ্ধতি খুঁজতে হন্যে হয়ে ওঠে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী। সে সময় ওয়েলসের বিজ্ঞানী ডোনাল্ড ডেভিসের নকশার ওপর ভিত্তি করে আরপানেট নামের প্রকল্প চালু করে তারা।
« Last Edit: January 05, 2013, 06:35:59 PM by Badshah Mamun »
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU