আদর্শ নারী |

Author Topic: আদর্শ নারী |  (Read 1398 times)

Offline bipasha

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 504
    • View Profile
আদর্শ নারী |
« on: January 21, 2013, 09:50:08 AM »
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সমগ্র বিশ্বজগতের সকল সৃষ্টির জন্যই রহমত। আমার মতে তাঁর রহমতের সবচেয়ে বড় অংশ পেয়েছে নারীজাতি। নারীর সম্মান ও মর্যাদা এবং তাদের হক ও অধিকার প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে নবুওয়তে মুহাম্মাদীর অনেক বড় অনুগ্রহ। সব শ্রেণীর নারীর অধিকার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথকভাবে তাকিদ করেছেন এবং নিজের কথা ও কাজে তার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

মুসলিম উম্মাহ যদি ইসলামের বিধান এবং প্রিয় নবীর সুন্নাহর অনুসারী হয়ে থাকে তাহলে এটা সম্ভব নয় যে, তাদের দ্বারা নারীর অমর্যাদা ও অধিকার হরণ হবে। এটা তো ইসলামী শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। নববী সুন্নাহর সংস্কারমূলক কাজের তালিকায় এটি শীর্ষস্থানীয়।

এ সংক্রান্ত ঘটনাবলি ও শামায়েলের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এখানে শুধু প্রিয় নবীর কয়েকটি বাণী উল্লেখ করা হল।

এক.

خياركم خياركم لنسائكم، وأنا خياركم لنسائي.

তোমাদের মধ্যে উত্তম মানুষ তারা, যারা তাদের নারীদের জন্য উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীদের জন্য তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।-সুনানে ইবনে মাজাহ, পৃ. ১৪২; জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬২

আরো ইরশাদ করেছেন-

استوصوا بالنساء خيرا

নারীদের বিষয়ে কল্যাণের উপদেশ আমার কাছ থেকে গ্রহণ কর।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬৩

বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে ইরশাদ করেছেন-

اتقوا الله في النساء، فإنكم أخذتموهن بأمان الله، واستحللتم فروجهن بكلمة الله.

তোমরা নারীর বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ তাদেরকে তোমরা গ্রহণ করেছ আল্লাহর নিরাপত্তায় আর তাদের লজ্জাস্থানকে হালাল করেছ আল্লাহর কালিমা দ্বারা।-সহীহ মুসলিম, হাদীস :১২১৮/১৪৭

কন্যাসন্তান সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন-

لا تكرهوا البنات فإنهن المؤنسات الغاليات

তোমরা মেয়েদের অপছন্দ করো না। কারণ তারা অন্তরঙ্গতা দানকারী মূল্যবান সম্পদ।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৭৩০৬

আরো ইরশাদ করেছেন-

من كان له ثلاث بنات، أو ثلاث أخوات، أو ابنتان أو أختان فاتقى الله فيهن، وأدَّبهن، وزوَّجهن، وأحسن إليهن فله الجنة.

যার তিনটি কন্যাসন্তান বা তিনজন বোন কিংবা দুইটি কন্যাসন্তান বা দুইজন বোন আছে আর সে তাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করেছে, তাদেরকে আদব শিখিয়েছে, পাত্রস্থ করেছে এবং তাদের প্রতি দয়া করেছে তবে তার জন্য রয়েছে জান্নাত।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫১০৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১৩৮৪; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৪৪৬

তিনি শুধু কন্যা আর বোন সম্পর্কেই বলেননি; বরং দাসী সম্পর্কেও ইরশাদ করেছেন-

رجل كانت عنده أمة فأدبها فأحسن تأديبها، وعلمها فأحسن تعليمها، ثم أعتقها فتزوجها فله أجران.

কারো যদি একটি দাসী থাকে আর তাকে সে আদব শেখায়, জ্ঞান শিক্ষা দেয় এরপর তাকে আযাদ করে এবং বিয়ে করে তবে তার জন্য রয়েছে দুই প্রতিদান।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৯৭

শিক্ষাদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে নামাযের আদেশ সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন-

مروا أولادكم بالصلاة وهم أبناء سبع سنين، واضربوهم عليها وهم أبناء عشر، وفرِّقوا بينهم في المضاجع.

সাত বছর বয়সেই সন্তানকে নামাযের আদেশ কর। আর দশ বছরে উপনীত হলে (প্রয়োজনে) নামাযের জন্য প্রহার কর আর তাদের পরস্পরের শয্যা পৃথক করে দাও।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৯৫; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৭৫৬

মোটকথা নারী জাতির প্রতি সম্মান ও সদাচার, তাদের অধিকার আদায়, সন্তান-সন্ততি, বিশেষত কন্যাসন্তানের শিক্ষা-দীক্ষা, দ্বীন ও দুনিয়ার আদব-কায়েদা শেখানো, তাদের অধিকার আদায় করা ও তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা-সবকিছুই সুন্নাহ ও নবী-আদর্শের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এসব বিষয়ে অবহেলা করে কেউ কখনো সুন্নাহর অনুসারী হতে পারে না।

## আপনার প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দিন ইসলামের শাশ্বত বাণী। হৃদয় থেকে হৃদয় উদ্ভাসিত হোক ঈমানের আলোকচ্ছটায়।

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: আদর্শ নারী |
« Reply #1 on: January 25, 2013, 06:41:04 PM »
Jazakallahu Khairan
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU