ব্যাঙাচির লেজে চোখ!

Author Topic: ব্যাঙাচির লেজে চোখ!  (Read 2388 times)

Offline nmoon

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 234
  • Test
    • View Profile

এবার ব্যাঙাচির লেজে চোখ বসিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনিতেও দৃষ্টিশক্তি নেই ওই ব্যাঙাচিগুলোর, কিন্তু লেজে বসানো চোখের বদৌলতে আংশিক হলেও দেখতে পাচ্ছে ব্যাঙাচিগুলো। এবিসি নিউজ জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাণীজগতের বিভিন্ন প্রাণী, এমনকি মানুষের স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও বড় একটি পদক্ষেপ হতে পারে এটি।

ব্যাঙাচির লেজে চোখ স্থাপনের গবেষণাটি করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস-এ টাফট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এবিসি নিউজকে পাঠানো এক ইমেইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষক মাইকেল লেভিন জানিয়েছেন, ‘মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থাটি কিভাকে তথ্য অদান প্রদান করে, সে ব্যাপারে আরো পরিষ্কার ধারণা পেতেই চালানো হচ্ছে এই গবেষণা। অস্বাভাবিক কোন স্থানে অঙ্গ থেকে পাওয়া তথ্য মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে পারে কিনা, তা দেখতে চাইছিলাম আমরা।’

ব্যাঙাচির লেজে চোখটি স্থাপন করার পর, কিভাবে স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং চারপাশের কোষগুলোর গঠন কেমন হয় তা পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। স্থাপন করা চোখগুলো কাজ করছে কিনা, সেটাও পরীক্ষা করে দেখেন বিজ্ঞানীরা।

ব্যঙাচিগুলোকে একটি গোল চেম্বারে রাখেন বিজ্ঞানীরা। চেম্বারটির এক পাশে ছিলো লাল রঙের আলো আর অন্য পাশে নীল রঙের আলো। ব্যাঙাচিটি লাল আলোর দিকে সাঁতার কেটে এগিয়ে গেলেই অল্প মাত্রার বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো এটিকে। একই ঘটনার কয়েকবার পুনরাবৃত্তির পর লাল আলোর দিকে এগিয়ে না গিয়ে নীল আলো দিকেই সাঁতার কেটে যেতে থাকে ব্যাঙাচিটি।

যে ব্যাঙাচিগুলোর লেজে চোখ বসানো হয়েছিলো, তার মধ্যে কয়েকটি চোখ সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছিলো মেরুদ-ের সঙ্গে, আর কয়েকটি সংযোগ করেছিলো পাকস্থলির সঙ্গে। লেভিন জানিয়েছেন মেরুদ-ের স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা চোখগুলোই কার্যকর ছিলো, আর পাকস্থলির সঙ্গে জোড়া লাগা চোখগুলো কোন কাজেই আসেনি। লাল ও নীল আলোর কোন পার্থক্য না বুঝেই এলোমেলো সাঁতার কাটছিলো ব্যাঙাচিগুলো।

মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বিজ্ঞানীদের এই অভিনব গবেষণা, জানিয়েছে এবিসি নিউজ।