‘পিতৃতুল্য’ ফার্গুসনকে বেকহ্যামের শ্রদ্ধা
মাত্র ১১ বছর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ অ্যাকাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম। তারপর দীর্ঘ ১৭ বছর ফার্গুসনের নিবিড় পরিচর্যায় হয়ে উঠেছিলেন এ সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। ২০০৩ সালে প্রিয় কোচের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ক্লাব ছাড়লেও ফার্গুসনকে শ্রদ্ধা জানাতে একটুও সংকোচ বোধ করেননি বেকহ্যাম। ফার্গুসনের কারণেই আজ এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে অকপটে স্বীকার করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক।
১৯৯৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলে জায়গা করে নেওয়ার পর ৩৯৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম। এ সময়ে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ও ১৯৯৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। ফুটবল বিশ্বও পরিচিত হয়েছিল তাঁর দক্ষতা ও প্রতিভার সঙ্গে। তবে এসবের কোনোকিছুই ফার্গুসনকে ছাড়া সম্ভব হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বেকহ্যাম। বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘ফার্গুসন আমার দেখা সবচেয়ে ভালো কোচ। এ কথা আমি আগেও অনেকবার বলেছি। তিনি আমার কাছে পিতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব। আমি ক্যারিয়ারে যা কিছু অর্জন করেছি তার কোনোকিছুই সম্ভব হতো না ফার্গুসনকে ছাড়া।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে শেষ দিনগুলো অবশ্য খুব একটা সুখকর ছিল না বেকহ্যামের জন্য। ২০০৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে প্রিয় কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার। সে সময় ফার্গুসন একবার একটা বুট ছুড়ে মেরেছিলেন বেকহ্যামের দিকে। তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপই নেই বেকহ্যামের; বরং ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের পর ফার্গুসন যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে আজীবনই কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবেন বেকহ্যাম। তিনি বলেছেন, ‘আটানব্বইয়ের বিশ্বকাপের পর তাঁকে ছাড়া আমি কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম না। আমি এ জন্য সব সময়ই তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। ফুটবল বিশ্বের সর্বকালের সেরা এই কোচের তত্ত্বাবধানে খেলতে পেরে আমি সত্যিই গর্ব বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ বস! বাকি জীবনটা উপভোগ করুন।’
২৬ বছরেরও বেশি সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এ সময়ে তিনি ক্লাবকে জিতিয়েছেন ১৩টি লিগ, দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ, পাঁচটি এফএ কাপ, চারটি লিগ কাপ ও একটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা।