নিম্ন রক্তচাপ কি ঝুঁকিপূর্ণ
নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাডপ্রেশার নিয়ে অনেক মানুষই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অযথা বা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, নিম্ন রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর ও স্বল্পমেয়াদি সমস্যা। শুধু স্বাস্থ্যহীন হলেই যে লো প্রেশার হবে, তা-ই নয়, মোটা মানুষেরও তা থাকতে পারে। সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০ মিলিমিটার পারদ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলিমিটার পারদের নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়।
কারণ
১. কোনো কারণে পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া
২. খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খেলে
৩. হজমে দুর্বলতা
৪. কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে হতে পারে
৬. শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
৭. রক্তশূন্যতা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
লক্ষণ
১. মাথা ঘোরানো
২. হঠাৎ বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে ভারসাম্যহীনতা
৩. হঠাৎ জ্ঞান হারানো
৪. অস্বাভাবিক দ্রুত হূৎস্পন্দনও নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে
চিকিৎসা
নিম্ন রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেশার বেড়ে যায়। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপ আছে, তাঁদের অবশ্যই কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ ধরনের অবস্থায় চিকিৎসক নিম্ন রক্তচাপের কারণ শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। তবে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাৎক্ষণিক ফলদায়ক।
নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ
১. অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকার পর ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে উঠুন।
২. ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৪. পাতে এক চিমটি করে লবণও খেতে পারেন।
৫. দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।
অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ্, ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
Source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-13/news/351803