আমরা যখন ডাক্তারের কাছে যাই তখন তারা আমাদেরকে প্রেসক্রিপশনে কিছু, ওষুধ ও উপদেশ লিখে দেন। ওষুধ আমরা খাই কিন্তু অনেক সময় তারপরেও রোগমুক্তি ঘটে না বা অন্যান্য অসুবিধা দেখ দেয়। কিন্তু কেন এই অসুবিধা হয় বা হতে পারে? জেনে নেয়া যাক কিভাবে ওষুধ খেতে হবে কিংবা কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ফ ডাক্তারের দেয়া সময় অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। কখনই নিজের ইচ্ছেমত সময়ে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। প্রেসক্রিপশনে যদি উল্লেখ থাকে কোনো ওষুধ খাবারের আগে বা পরে খেতে হবে তবে তা সেই নিয়মে খেতে হবে। কারণ তা না হলে ঐ ওষুধ কাজ করবে না কিংবা রোগীর ক্ষতি হতে পারে। যেমন, ব্যথার ওষুধ সবসময় ভরা পেটে খেতে বলা হয়ে থাকে।
ফ ডাক্তার যত চামচ বা যতটা ট্যাবলেট খেতে বলেন ওষুধ ঠিক ততটুকুই খেতে হবে। এর কম বা বেশি বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেক রোগী নিজেকে বেশি বা কম অসুস্থ মনে করে ওষুধ কম বেশি খান। এটা করা কখনই ঠিক নয়। শিশুদের ওষুদের ক্ষেত্রে মাপ সঠিক হওয়া অত্যন্ত জরুরি বিষয় এটা খেয়াল রাখতে হবে। ড্রপ বা চামচ কি দিয়ে মেপে নিতে বলা হয়েছে তা লক্ষ্য রাখবেন।
০ যে ওষুধ যতদিন খেতে বলা হয় ঠিক ততদিনই খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক রোগী মনে করেন, আমি এখন ভাল আছি আর ওষুধ খেতে হবে না। কিন্তু এটা ঠিক নয়। প্রেসক্রিপশনে দেয়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওষুধ খেতে হবে। আর তাতে সুস্থ না হলে আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নির্ধারিত সময়ের পরেও ওষুধ গ্রহণ ঠিক নয়। ঠিক যতদিন খেতে বলা হয় ততদিন ওষুধ খাবেন।
০ অনেক রোগী আছেন পূর্বের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করেন। ধরা যাক পেট ব্যথার কারণে একবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এবং সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খেতে ভাল হয়ে গেছেন। দ্বিতীয়বার আবার পেটে ব্যথা হলে সেই পূর্বের ওষুধ খেতে শুরু করলেন। এটা কোনভাবেই ঠিক নয়। একরম কখনো করবেন না। এভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ওষুধ গ্রহণই ঠিক নয়।
০ প্রেসক্রিপশনের সাথে মিলিয়ে দেখুন ঠিক ওষুধ কিনেছেন কিনা। তারপর ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ ও উপদেশ অনুযায়ী ওষুধ খান। আরেকটি কথা, শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, ডাক্তারের দেয়া উপদেশগুলো মানতে হবে।