Zakat Calculation

Author Topic: Zakat Calculation  (Read 3297 times)

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Zakat Calculation
« on: July 23, 2013, 10:12:37 AM »
যাকাতের নিসাব ও কত হারে জাকাত দিতে হয়:

বুখারীর হাদিসঃ ''পাঁচ উকিয়ার কম পরিমাণ সম্পদের যাকাত নেই।
পাঁচটি উটের কমের উপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম উৎপন্ন দ্রব্যের যাকাত নেই।''

১ উকিয়া = (১১৯ গ্রাম রূপা) ৪০ দিরহাম অতএব ৫ উকিয়া = ২০০ দিরহাম অর্থাৎ ৫৯৫ গ্রাম রূপা।

১ ওয়াসাক = ৬০ সা। রাসুল (সাঃ) এর সা' এর পরিমাণ ছিল ১ সা = ২ কেজি ৪০ গ্রাম পাকা পুষ্ট গম। আরবি অভিধানের বর্তমানে প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী ১৩০ কেজি ৩২০ গ্রাম ফসল।

সূত্রঃ মু'জামু লুগাতুল ফুকাহা পৃষ্ঠা ৪৪৯-৪৫০।
সহিহ বুখারীর অনুবাদ তাওহীদ পাবলিকেশন ২য় খন্ড ৮০-৮১ পৃষ্ঠা টীকা।

** স্বর্ণ ও রূপার যাকাতের নিসাবঃ

স্বর্ণের নিসাব হচ্ছে ২০ মিসকাল (দিনার) তথা ৮৫ গ্রাম।

যদি কারো কাছে ৮৫ গ্রাম পরিমাণ বা অধিক স্বর্ণ ১ বছর (অর্থাৎ ১২ মাস) পর্যন্ত স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে তাহলে বছর শেষ হলে যাকাত দিতে হবে।

রূপার নিসাব হচ্ছে ১৪০ মিসকাল (দিরহাম) তথা সৌদি আরবের রূপার দিরহাম অনুযায়ী ৫৬ রিয়াল অর্থাৎ ৫৯৫ গ্রাম।

অর্থাৎ কারো কাছে ৫৯৫ গ্রাম বা এর অধিক রূপা ১ বছর কাল সময় পূর্ণ করলে এর যাকাত আদায় করতে হবে।

** জমানো টাকার ক্ষেত্রেঃ
জমানো টাকার পরিমাণ যদি বাজারে স্বর্ণ বা রূপার নেসাব এর বাজার মূল্যের পরিমাণ বা অধিক থাকে তাহলে তার যাকাত দিতে হবে!

এখানে আমাদের একটু বুঝতে হবে। যদি কারো কাছে স্বর্ণ অথবা রূপার নেসাব পরিমাণ বাজার মূল্য ''টাকা" হিসেবে পুর্ণ ১ বছর জমা থাকে তাহলে তার যাকাত দিতে হবে।

এখানে নেসাব হিসেবে স্বর্ণকেও গ্রহণ করা যেতে পারে আবার রূপাকেও
গ্রহণ করা যেতে পারে, এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।

**** জমিনে উৎপন্ন ফসলের যাকাত বা উশড়ঃ
আল্লাহ্‌ বলেন,
''আর তোমরা ফসলের হক সমূহ আদায় কর যেদিন ফসল কর্তন কর সেদিনই। -সুরা আল আন'আম ১৪১।

অর্থাৎ যে দিন ফসল জিমই থেকে কেটে ঘরে তোলা হয় সে দিনই ফসলের যাকাত যাকে উশর বলা হয় তা ফরয হয়।

গবাদি পশুর নিসাব পরিমাণঃ
এগুলোর মধ্যে সামিল হবে গরু, ছাগল, ভেড়া, উট ইত্যাদি গৃহপালিত পশু। এগুলোর ক্ষেত্রে শর্ত হল এই গবাদি পশুগুলো মাঠে চরা পশু হতে হবে এবং দুধ কিংবা আর্থিক লাভের জন্য পালন করা হতে হবে। মাঠে চড়ার ক্ষেত্রে শর্ত হল সমস্ত বছর কিংবা বছরের অধিকাংশ সময় চরতে হবে।

এদের নিসাব ও পুর্ণ এক বছর পুর্তি হলেই কেবল যাকাত দিতে হবে নতুবা নয়।

গবাদি পশুর নিসাব পরিমাণ হচ্ছেঃ
উটের ক্ষেত্রেঃ সর্ব নিম্ন ৫টি
গরুর ক্ষেত্রেঃ সর্ব নিম্ন ৩০ টি
ছাগল বা ভেড়া বা দুম্বার ক্ষেত্রেঃ সর্ব নিম্ন ৪০ টি।

অর্থাৎ এই পরিমাণ পশু ১ বছর সময় পযন্ত থাকলে এদের যাকাত দিতে হবে।

কিন্তু ব্যাবসার জন্য যদি তাদের পালন করা হয় তাহলে মাঠে চড়ানো হোক বা খোঁয়াড়ে রেখে পালন করা হোক তার যাকাত দিতে হবে ''মূল্য'' তথা অর্থ নির্ধারণ করে।
###############

নেসাব পরিমাণ সম্পদের যাকাতের পরিমাণঃ
*****************************

** অর্থ, স্বর্ণ ও রূপার শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত দিতে হবে - বুখারী , মুসলিম**

স্বর্ণঃ
২০ দিনার বা ৮৫ গ্রাম ওজনের তথা সাড়ে সাত তোলা সোনা হলে ৪০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত দিতে হবে। অর্থাৎ শতকরা আড়াই ভাগ স্বর্ণ বা স্বর্ণ মূল্য যাকাত হিসেবে দিতে হবে। - বুখারী , মুসলিম।

রূপাঃ
১৪০ দিরহাম বা ৫৯৫ গ্রাম অর্থাৎ সাড়ে ৫২ তোলা রূপা হলে তখন শতকরা আড়াই ভাগ রূপা অথবা রৌপ মূল্য যাকাত হিসেবে দিতে হবে। - বুখারী, মুসলিম।

টাকাঃ
বাজারে স্বর্ণ মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ এর বাজারমূল্য
পরিমাণ অর্থ জমা থাকে তাহলে এর শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত দিতে হবে।

অথবা
বাজারে রূপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি ৫৯৫ গ্রাম রূপার এর বাজারমূল্য পরিমাণ অর্থ জমা থাকে তাহলে এর শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত দিতে হবে।

এক্ষেত্রে নিসাব পরিমাণ হিসেবে ব্যক্তি ইচ্ছামত স্বর্ণ বা রূপা যে কোনটিকে গ্রহণ করতে পারে।

আজকের বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী:

স্বর্ণকে নিসাব ধরলে,

স্বর্ণের নুন্যতম মূল্য হিসেবে কারো কাছে কমপক্ষে প্রায় ১,১৭,০০০ টাকা ১ বছর পর্যন্ত সঞ্চয়ে থাকলে এর আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে দিতে হবে। অর্থাত প্রতি ১,১৭,০০০ টাকায় যাকাত আসবে প্রায় ৪২৫০ টাকা।

অপরদিকে রুপাকে নিসাব ধরলে,

রুপার নুন্যতম মূল্য হিসেবে কারো কাছে কমপক্ষে প্রায় ১৭,০০০ টাকা ১ বছর পর্যন্ত সঞ্চয়ে থাকলে এর আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে দিতে হবে। অর্থাত প্রতি ১৭,০০০ টাকায় যাকাত আসবে প্রায় ৪২৫ টাকা।

যেহেতু স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে সেহেতু রুপাকে নেসাব ধরে যাকাত আদায় করাটাই উত্তম। এতে গরিব মানুষের অশেষ উপকার হয়।

জাকাত দিলে সম্পদ বাহ্যিক দৃষ্টিতে কমে যাচ্ছে মনে হলেও মূলত বাড়ছে! কিভাবে? কারণ যাকাত আদায় করলে সম্পদে বরকত বাড়ে। বরকত হীন লক্ষ টাকা ১০০০০ টাকারও সমান নয় অপরদিকে বরকতযুক্ত ১০০০০ টাকা লক্ষ টাকার প্রয়োজন পূরণ করে দেয় ।

যদি কেউ রূপা কে নিসাব গ্রহণ করে তাহলে সেটা গরিবদের জন্য খুবই উত্তম হয়। তাই ওলামাগণ রূপাকে নিসাব গ্রহণে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে কেউ চাইলে স্বর্ণকেও নিসাব গ্রহণ করতে পারে।

যাকাত না দেওয়ার পরিণাম

যাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ঈমান ও ছালাতের পরেই যাকাতের স্থান। মহান আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য যাকাত ফরয করেছেন। পবিত্র কুরআনে ৩২ জায়গায় যাকাত আদায় করার ব্যাপারে আলোচনা এসেছে। যাকাত না দিলে সম্পদ শুধু ধনীদের কাছে জমা হয়। ফলে সমাজে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয় এবং ধনীরা ও সূদখোররা জোঁকের মত সমাজের রক্ত শোষণ করে নিজে বড় হয়, আর সমাজকে রক্তহীন করে দেয়। তাই পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

    ‘প্রত্যেক সোনা-রূপার মালিক যে তার হক্ব (যাকাত) আদায় করে না, ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য বহু পাত তৈরী করা হবে এবং সেগুলো জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তার পাঁজর কপাল ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। যখনই তা ঠান্ডা হবে, তখনই তা গরম করা হবে (তার এ শাস্তি চলতে থাকবে) সেই দিনে যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান। সকল বান্দার বিচার নিষ্পতি না হওয়া পর্যন্ত তার এ অবস্থা চলতে থাকবে। অতঃপর সে তার পথ ধরবে হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।

    জিজ্ঞেস করা হ’ল হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! উট সম্পর্কে কী হবে? তিনি বললেন, কোন উটের মালিক যে তার হক্ব আদায় করবে না। আর তার হক্ব সমূহের মধ্যে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করা এবং অন্যদের দান করাও এক হক্ব। যখন ক্বিয়ামতের দিন আসবে তখন এক প্রশস্ত বিশাল ময়দানে তাকে উপুড় করে ফেলা হবে এবং তার সকল উট যা একটি বাচ্চাকেও হারাবে না- পূর্ণভাবে তাকে ক্ষুর দ্বারা মাড়াতে থাকবে ও মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে পুনরায় প্রথম দল এসে পৌঁছবে। এরূপ করা হবে এমন দিনে যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান, যাবৎ না আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা শেষ হয়। অতঃপর সে তার পথ জান্নাতে অথবা জাহান্নামের দিকে দেখতে পাবে।

    জিজ্ঞেস করা হ’ল হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! গরু ও ছাগল সম্পর্কে কী হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক গরু ও ছাগলের মালিক যে তার হক্ব (যাকাত) আদায় করবে না, ক্বিয়ামতের দিনে তাকে এক ধুধু মাঠে উপুড় করে ফেলা হবে এবং তার সকল গরু ও ছাগল তাকে শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে ও ক্ষুর দ্বারা মাড়াতে থাকবে। অথচ সেদিন তার একটি গরু বা ছাগলও শিং বাঁকা, শিং হীন বা শিং ভাঙ্গা হবে না এবং একটি গরু-ছাগলকেও সে হারাবে না। যখনই তার প্রথম দল অতিক্রম করবে, তখনই শেষ দল এসে পৌঁছবে। (এরূপ করা হবে) সে দিনে, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান। যাবৎ না আল্লাহর বান্দাদের বিচার-মীমাংসা শেষ হয়। অতঃপর সে তার পথ হয় জান্নাতে, না হয় জাহান্নামে দেখতে পাবে।

    অতঃপর জিজ্ঞেস করা হ’ল হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! ঘোড়া সম্পর্কে কী হবে? তিনি বললেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য পাপের কারণ, কারো জন্য আবরণস্বরূপ আর কারো জন্য ছওয়াবের বিষয়। (১) যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য পাপের কারণ তা হ’ল সে ব্যক্তির ঘোড়া, যে তাকে পালন করেছে লোক দেখানো অহংকার ও মুসলমানদের প্রতি শত্রুতার উদ্দেশ্যে। (২) যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে আবরণ স্বরূপ তা হ’ল সে ব্যক্তির ঘোড়া, যে তাকে লালন-পালন করেছে আল্লাহর রাস্তায় এবং তার সম্পর্কে ও তার পিঠে আল্লাহর হক্ব সম্পর্কে ভুলেনি। এই ঘোড়া তার মান-সম্মানের জন্য আবরণ স্বরূপ। আর (৩) যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য ছওয়াবের কারণ তা হ’ল সে ব্যক্তির ঘোড়া, যে তাকে পালন করেছে কোন চারণভূমিতে বা ঘাসের বাগানে শুধু আল্লাহর রাস্তায় মুসলমানদের দেশ রক্ষার জন্য। তখন তার সে ঘোড়া চারণভূমি অথবা বাগানের যা কিছু খাবে, সে পরিমাণ নেকী তার জন্য লেখা হবে এবং তার গোবর ও প্রস্রাব পরিমাণও নেকী লেখা হবে। যদি তা আপন রশি ছিড়ে একটি অথবা দু’টি মাঠও বিচরণ করে তাহ’লে তার পদচিহ্ন ও গোবর পরিমাণ নেকী তার জন্য লেখা হবে। এছাড়া তার মালিক যদি তাকে কোন নদীর কিনারে নিয়ে যায়, আর সেটা নদী হ’তে পানি পান করে, অথচ মালিকের ইচ্ছা ছিল না তাকে পানি পান করানোর। তবুও ঐ পানি পরিমাণ নেকী তার জন্য লেখা হবে।

    জিজ্ঞেস করা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! গাধা সম্পর্কে কী হবে? তিনি বললেন, গাধার বিষয়ে আমার নিকট শুধু এই স্বতন্ত্র ও ব্যাপকার্থক আয়াতটি নাযিল হয়েছে ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে সেদিন সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে’

     (যিলযাল ৯৯/৭-৮; মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৩; বাংলা মিশকাত হা/১৬৮১)

আল্লাহর দেয়া সম্পদের যাকাত আদায়ের মাধ্যমে মানুষ পার্থিব জীবনে যেমন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করে, তেমনি পরকালীন জীবনে জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে মুক্ত হয়ে জান্নাতের অফুরন্ত সুখ লাভে ধন্য হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত সোনা-রূপা ও গবাদি পশুসহ সকল সম্পদের যাকাত সঠিকভাবে আদায় করা এবং মহান আল্লাহ নির্দেশিত পথে খরচ করা। আল্লাহ আমাদের তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

(Courtesy : https://www.facebook.com/allpraisebelongstoallah/posts/631570213528294)
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU