ঢেউটিন শিল্পে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ

Author Topic: ঢেউটিন শিল্পে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ  (Read 2152 times)

Offline maruppharm

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1227
  • Test
    • View Profile
ঢেউটিনশিল্পে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এশিয়ার বাজারে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতামূলক দামে মানসম্মত পণ্যের কারণে দেশের ছয়টি কম্পানির বাজার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করেন এ্যাপোলে ইস্পাতের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, 'ঢেউটিন রপ্তানিতে এখন আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। আগামী দিনে এই শিল্পের শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাদেশ। কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমীর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স ও লিজিং ব্যবসার রূপকার এই উদ্যোক্তা বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পেলে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভারতের পর এশিয়ার অন্য দেশেও বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নিজের প্রতিষ্ঠান এ্যাপোলো ইস্পাতে জার্মান প্রযুক্তি নফ এর মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। আগামী বছরই পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন বাজারে আনতে চান তিনি।



দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে শিল্প ও আর্থিক খাতে অনেক প্রতিষ্ঠানের রূপকার প্রবীণ ব্যবসায়ী দীন মোহাম্মদ। তিনি প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সিটি ব্যাংকের এই সাবেক চেয়ারম্যান এবং পরিচালক আর্থিক খাতে যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, 'আমার বাবা ব্যবসা করতেন, দাদা ব্যবসা করতেন। আর্থিক খাতেই আমার আগ্রহ বেশি কারণ আমি মনে করি, এটি একটি সম্মানজনক ব্যবসা। এ কারণে ব্যাংক, লিজিং, ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স টেক্সটাইল, হোল্ডিং, ফিনিক্স স্পিনিং মিল, রংধনু স্পিনিং মিল, ইস্টার্ন ডায়িং এবং এ্যাপোলোর মতো কম্পানি গড়ে তুলেছি।'

বিদেশের শিল্প-কারখানা ঘুরে বেড়ানোর নেশা এ্যাপোলো ইস্পাত চেয়ারম্যানের। দীন মোহাম্মদ বলেন, 'শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আমার উৎসাহ ও অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে বিদেশ সফর থেকে। আমেরিকা দিয়ে শুরু করে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বহু দেশের অসংখ্য কারখানা ঘুরে দেখেছি। এসব কারখানা পরিদর্শনের ফলে আমার মধ্যে জিদ তৈরি হয়। বিদেশের চেয়ে আরো উন্নত কারখানা এ দেশেই প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি আমি। দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ও জিদই আজকের এ্যাপোলে প্রতিষ্ঠায় সাহস জুগিয়েছে। ইউএস স্টিলের আদলে এ্যাপোলোকে গড়ে তুলেছি। যাঁরা এ্যাপোলোর কারখানায় গিয়েছেন তাঁরাই অবাক হয়েছেন। জার্মানের প্রতিনিধিদলের এক সদস্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কারকাখানার পরিচ্ছন্নতা দেখে এখানে ঘুমানোর আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এই কারখানাকে আমি নিজের মতোই ভালোবেসে গড়ে তুলেছি।'

এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স তৈরির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে দীন মোহাম্মদ বলেন, 'প্রায় ৮০ বিঘা জমির ওপর তিন লাখ স্কয়ারফিটের এই শিল্প-কারখানা একদিনে হয়নি। একে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি। প্রথমে আমরা শিট টু শিট থেকে কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিংয়ে চলে যাই। মাত্র পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে ২৪ বছর আগে ব্যবসা শুরু করে এখনো অব্যাহত বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। আমাদের জার্মান প্রযুক্তির নফ প্রজেক্ট আসছে, যাতে ঢেউটিনে জিংক এবং সিসার মাত্রা কমে যাবে। এতে আমরা আরো উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব ঢেউটিন প্রস্তুত করতে পারব। আশা করছি, এই প্রকল্প আগামী বছরের শুরুতেই চালু হবে। শতভাগ দূষণমুক্ত ঢেউটিন এ দেশে আমরাই বানাব। এতে একদিকে ২০ শতাংশ ব্যয় কমে যাবে এবং উৎপাদন ২৫ শতাংশ বাড়বে। খুব শিগগিরই রঙিন ঢেউটিন বানাতে যাচ্ছি।'

দীন মোহাম্মদ বলেন, 'আমরা যখন গ্যালভানাইজিংয়ে আসি তখন শীর্ষে ছিল জাপান। আর আগামী দিনে এই শিল্পের ১ নম্বর আসন দখল করবে বাংলাদেশ। ঢেউটিন রপ্তানিতে আমরা এখন দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। আমরা ১ নম্বরে আসতে পারব। কারণ প্রতিযোগিতামূলক দামে উন্নতমানের পণ্য আমরাই দিতে পারব।' এ্যাপোলোর 'রানী' মার্কা ঢেউটিনকে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'রানী মার্কা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের মনোযোগ ছিল মানের প্রতি। দেশের গ্রামগঞ্জে মানুষের অন্যতম পছন্দের নাম রানী মার্কা ঢেউটিন। রানী মার্কা ঢেউটিন বিদেশেও জনপ্রিয়। আমাদের পণ্য চোরাই পথে ভারত চলে যায়। মিয়ানমার, থাইল্যান্ডেও আমরা রপ্তানি করছি। অন্যান্য দেশেও যেতে চাই।'

একসময় দেশে প্রায় ৪০টি ম্যানুয়াল গ্যালভানাইজিং কারখানা ছিল। সময়ের চাহিদায় অবসান ঘটেছে শিট টু শিট ঢেউটিন বানানোর সনাতনী অধ্যায়ের। দেশের ঢেউটিন শিল্পে কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিংয়ের ছয়টি কম্পানি এখন বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানালেন এ্যাপোলো ইস্পাতের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, 'আমরাই জাপানের নিপ্পন কম্পানির কাছ থেকে প্রথম অত্যাধুনিক মেশিন আনি, যার মাধ্যমে সর্বোৎকৃষ্ট ঢেউটিন বানাচ্ছি।'

দীন মোহাম্মদ বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেরা মানের ঢেউটিন বানাতে আমাদের অনবরত বিনিয়োগ করতে হয়েছে। আমাদের 'সুপার কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং' প্লান্টে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেলে দিনে ২০০ টন ঢেউটিন উৎপাদনে সক্ষম হব। তিনি বলেন, 'এই খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে শিল্প-কারখানায় জ্বালানি সমস্যা দূর করতে হবে। তা ছাড়া পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, যানজটসহ অন্যান্য সমস্যা দূর করতে হবে। থাইল্যান্ড থেকে আমরা একটি বড় অর্ডার পাই; কিন্তু গ্যাসের প্রেসার কম হওয়ায় উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে। সময়মতো চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় থাইল্যান্ডের ফেডারেশনের কাছে আমাকে মাফ চাইতে হয়েছে।'

দেশে বিনিয়োগ আনতে অবকাঠামোসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার অনুরোধ জানিয়ে এই উদ্যোক্তা বলেন, জমি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হলেই বিনিয়োগ স্থবিরতা কেটে যাবে। এর সঙ্গে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। তিনি বলেন, 'এই শহরে জনসংখ্যা বাড়ছে; কিন্তু রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগ অবকাঠামো বাড়ছে না। বড় কোনো জনসমাগম ঘটলেই ঢাকা অচল হয়ে যায়। এভাবে প্রতিদিনের যানজট আমাদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে।'

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নকে সরকারকে 'টপ প্রায়োরিটি' দেওয়ার দাবি জানিয়ে এই প্রবীণ উদ্যোক্তা বলেন, 'শুধু গোমতী ব্রিজ সংস্কারের কাজেই আমরা ১১ দিন পণ্য পাঠাতে পারিনি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পেছনের দিকেই যেতে থাকব, সামনে এগুতে পারব না।' ব্যাংক ব্যবসায় আসার পেছনে নিজের জিদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ দেশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যাংক ব্যবসায় সবার আগে আমি গিয়েছি। পাকিস্তান আমলে যখন ব্যবসা করতাম তখন তারা নানাভাবে অসহযোগিতা করত। পাকিস্তানের ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদের ফাইল গায়েব করে দিত, বাঙালি জানলে পাত্তাই দিত না। বিহারিদের সেই বিদ্বেষ ভুলতে পারিনি। ব্যবসা পরিচলানার অর্থ সংগ্রহের জন্য ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবহেলার গ্লানি কাটাতে নিজেই একটি ব্যাংক করার সিদ্ধান্ত সেদিনই নিয়েছিলাম।'

এ্যাপোলো ইস্পাতের এই চেয়ারমান বলেন, 'দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্যাংক ব্যবসায় আসার আগ্রহের বাস্তবায়ন শুরু হয়। জিয়াউর রহমানের আমলে উনি আমাকে মাঝে মাঝে প্রেসিডেন্ট হাউসে ডাকতেন। উনাকে বেসরকারি খাতে ব্যাংক দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বলি। উনি ইতিবাচক সাড়া দিয়ে জনমত তৈরি করতে বলেন। আজ থেকে ২০ বছর আগেও লিজিং কম্পানি সম্পর্কে সরকারের নীতিনির্ধারণী অনেকের মধ্যেই স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। সিঙ্গাপুর, জাপানে বহু বিমানে অর্থায়নে তখন লিজিং কম্পানিগুলোর রমরমা ব্যবসা। আমি লিখিত প্রস্তাব দিলে তা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাদের ফিলিপাইন, জাপাান, চায়না ট্যুর করিয়ে লিজিং কম্পানি সম্পর্কেও ধারণা দিই। এরপর সরকারি লোকজন এ বিষয়টি আমলে নেয়। প্রথমে আইডিএলসিতে ২০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ঢুকলাম। আইডিএলসিতে হাজার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।'

দীন মোহাম্মদ বলেন, 'প্রাইভেট সেক্টরে অর্থায়নে আমি নতুন জীবন দিয়ে গেছি। এখন একটির পর একটি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। ছোট একটি দেশে এতগুলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ পৃথিবীর কোথাও নেই। তবে কোনো কিছুই বেশি ভালো নয়।'

আরো নতুন ব্যাংক ও বীমা অনুমোদন প্রসঙ্গে দীন মোহাম্মদ বলেন, 'এগুলোর অকাল মৃত্যু হবে। সব কিছুরই একটা লিমিট থাকা উচিত। ভারতে কয়টা ব্যাংক চলছে? এখন মার্জার-অ্যাকুইজেশন হবে। ৫৭টি ইনস্যুরেন্স কম্পানি আছে, আবারও ইনস্যুরেন্স দেওয়া হলো। এগুলোরও একই পরিণতি হবে। ফিনানশিয়াল সেক্টরে অনেক সময় দিতে হয়, অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। এই ব্যবসা খুবই কঠিন।'

সিটি ব্যাংক প্রসঙ্গে বলেন, 'পুুরনো উদ্যোক্তাদের অনেকেই এখন এই ব্যাংকে নেই, কিন্তু আমি আছি। মাত্র তিন কোটি টাকার ব্যাংকে এখন ৭০০ কোটি টাকার ক্যাপিটাল, এক শর বেশি শাখা। অ্যামেক্স, ভিসা কার্ডের মতো অত্যাধুনিক সেবা চালু করেছি, যা সিটির ইমেজ বৃদ্ধি করেছে। এ দেশের বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অর্থের জোগান দিয়েছে সিটি ব্যাংক।

শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণ সম্পর্কে দীন মোহাম্মদ বলেন, আসল সমস্যা টাকা ও আস্থার। এ সমস্যা না কাটলে পুঁজিবাজারে গতি আসবে না। মানি ইংকজেট করলে এটি ঠিক এক মাস লাগবে।'

শেয়ারবাজার নিয়ে নিজের বড় উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে দীন মোহাম্মদ বলেন, 'নরওয়ের একটি কম্পানির সঙ্গে আমরা এমওইউ সাইন করেছি। ওরা দু-তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে আসছে পুঁজিবাজারে। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে এই টাকাটা শেয়ারবাজারে এলে বাজারে আবার গতি ফিরবে। সরকার যে ৯০০ কোটি পুনরর্থায়ন দেবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে দ্রুত ডিসভার্স করার দাবি জানান তিনি।' এ্যাপোলোর আইপিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের রানী মার্কার গুড উউল আছে, তাই আশা করি এ্যাপোলোর আইপিওর সাবস্ক্রিপশন ভালো হবে।'

মন্দার মধ্যেও ব্যাংকে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের কথা অকপটেই শিকার করলেন দীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, 'ঋণ শ্রেণীকরণের সময়সীমা বাড়ানোয় সহজেই ব্যবসায়ীরা খেলাপিতে পরিণত হচ্ছেন। এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আবার কোনো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে পুরো গ্রুপকেই আর ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে নেওয়া এসব নীতি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছে।'

ব্যবসায়িক প্রয়োজনে প্রচুর বিদেশ ভ্রমণ করেন দীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, 'শিল্প খাতে অনেক দেশের উৎকর্ষতা দেখার পর নিজের মধ্যে জিদ তৈরি হয়েছে। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে জাপানিদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা নিয়ে ওরা শিল্প গড়তে মনোনিবেশ করে। চীনের প্রধানমন্ত্ররী রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে গিয়ে তাদের বদলে যাওয়ার কাহিনী শুনেছি। তখন মনে হয়েছিল দেশে ফিরেই কমিউনিস্ট হয়ে যাব। জাপান যুদ্ধের ধাক্কা, হিরোশিমার বীভৎসতা জাপানিদের জিদ তৈরি করেছে। এই জিদই তাদের শিল্পায়নে শিখরে নিয়ে গেছে। জাতি হিসেবে আমাদেরও আছে মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা। সেই জিদ কাজে লাগিয়ে আমাদেরও জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্ব। আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা জিয়াউর রহমান থাকলে আমরা বহুদূর যেতাম। এ রকম নেতা আর পয়দা হয়নি। সবাই ব্যস্ত আছেন নিজেকে নিয়ে। এখানকার রাজনীতিতে লোভ আছে; কিন্তু জিদ নেই।'

নির্বাচনী রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি তো দূরের কথা অনেক ব্যবসায়ীই অনিশ্চয়তায় দেশ ছাড়ছে বলে জানালেন দীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, 'কয়েক দিন ধরে বিজনেস ক্লাসে কোনো সিট পাই না, প্রায় দিনই বিমান ফুল। বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ীই এখন বিদেশে। তাঁরা কেউই স্থায়ীভাবে যাননি। এত কিছুর পরও এই দেশই আমার কাছে প্রিয়। এ দেশকে আমি ভালোবাসি। আমাকে অনেক দেশ সেকেন্ড হোমের অফার দিয়েছে। আমি কোথাও যাব না। তাদের বলেছি, আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।'

এই উদ্যোক্তা আমৃত্যু ব্যবসা করে যেতে চান। তিনি বলেন, 'আমার বাবার দেওয়া মাত্র ২০ হাজার টাকা থেকে আজ এতগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। পরবর্তী প্রজন্ম একটি শক্ত ভিত পাচ্ছে, যা তাদের আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
Md Al Faruk
Assistant Professor, Pharmacy

Offline Kanij Nahar Deepa

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 291
  • Faculty
    • View Profile
wow...Proud to be..
Kanij Nahar Deepa
Lecturer
Dept. of Pharmacy
Daffodil International University