Entertainment & Discussions > Photography

ফটোগ্রাফারদের যা করা উচিত না

(1/1)

maruppharm:
১. চাই আরও আরও লেন্স, ট্রাইপড, ফ্লাস ইত্যাদি ইত্যাদি:

বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা থাকে যে যত বেশি গিয়ার, তত বেশী ভাল ছবি। আর নতুনদের তো আফসোসের শেষ নাই। প্রথমে একটা ক্যামেরা হাতে পাইলে চাই ডিএসএলআর, সেটা পাইলে চাই এত্তোগুলান লেন্স, তারপর চাই ফ্লাস, ট্রাইপড ইত্যাদি ইত্যাদি। ধীরে ভাই ধীরে। যা হাতে আছে তাই দিয়ে কাজ শিখুন, আস্তে আস্তে আগান। কাজ যত শিখবেন, ততই নিজে নিজে বুঝতে পারবেন যে আপনার কি দরকার। সত্য কথা বলতে ১বছর আগে আমারও এমন মনে হত। কিন্তু আমার হাতে এখন যা আছে, আমি তাই নিয়েই সন্তুষ্ট। আর তা দিয়ে যে খারাপ কিছু করছি এমন না। বরং আমি উল্টা বলি যে আমি আমার ক্যামেরার যোগ্য এখনও হইনি।



২. ক্যামেরা বাড়ি রেখে যাওয়া:

একটু খানি, শুধু একটু খানি আলসেমি করে ঘরে ক্যামেরা রেখে বের হবেন, দেখবেন আপনার মাথার উপরে আকাশটা আজকে কত্তো সুন্দর দেখাচ্ছে। হয়ত এমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে, যা আপনার হাতে ক্যামেরা থাকলে তুলে রাখতে পারতেন। কিন্তু আফসোস, আপনিতো আলসেমি করে ক্যামেরা ঘরে রেখে গেছেন। অথবা হয়ত ছিনতাইকারির ভয়েই ক্যামেরা রেখে গেছেন। কি আর করা, মিসতো মিসই। তাই না? তাই ক্যামেরা কখনই ঘরে ফেলে রেখে যাবেন না। সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।

৩. একই টেকনিকে সব ছবি তোলা:

নতুনদের ক্ষেত্রে এই জিনিষটা একটা কমন বিষয়। একবার যদি একটা জিনিষ ভাল পাওয়া যায়, তাইলেই হইছে, ঐভাবেই ছবি তুলতে থাকবে। অনেকই হয়ত মনে মনে আমার ভুল একটা ধরে ফেলছেন, মনে করছেন যে আসলে এমন হয় না। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। চাঁদের ছবি দেখেছেন? দেখবেন সব্বাই একই রকম ছবি তুলে ভরে ফেলেছে। নতুনত্ব নেই কোন। সবার একই ছবি। বলতে বাধে না, আমিও অমন করেই তুলেছিলাম, মাত্র একবার। একবার তুলে যখনই ফেসবুকে আপলোড দিলাম, ওমনি ৩০ মিনিটের মধ্যে ঐ একই রকম ছবিতে ফেসবুক একাকার। তাই, একই স্টাইলের ছবি বার বার না। নতুন টেকনিক বের করুন।

৪. কপিরাইটের মূল্য না দেওয়া:

অনেককেই দেখি যে কপিরাইটের মূল্যই দেয় না। কিছু বললেই বলে, আরে কপি করুকতো, কার কি আসে যায়। কিন্তু না, এমনে যদি সব্বাই আপনার ছবি কপি করে, তাহলে আর আপনি কষ্ট করে ছবি তুলছেন কেন? আর ভবিষ্যতেই বা আপনি কি করবেন? তাই নিজের কপিরাইটের মূল্য দিন। মূল ছবি আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন। বরং মূল ছবির একটা রেপ্লিকা (ছোট সাইজের ছবি) আপলোড করুন।

৫. অতিরিক্তমাত্রায় কপিরাইট কপিরাইট করা:

আগের পয়েন্টের থেকে এটা একটু সেল্ফ-কন্ট্রাডিক্টরি মনে হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা যায় ফটোগ্রাফাররা তাদের ছবি এখানে ওখানে দিয়ে নিজের কপিরাইটের জন্য এত্তোগুলা কথা লিখেন। এটা করা উচিত না। তাতে মানুষ বিরক্ত হয়। আপনি ছোট সাইটের ছবি দিলেই অথবা লোগো বসিয়ে দিলেই এই সমস্যার সমাধান। আবার আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ছবিটি চুরি হতে পারে, তাহলে সেটি কোথাও প্রকাশ করাই উচিত নয়, শুধুমাত্র যেখানে দরকার, সেখানে প্রকাশ করুন।



৬. সব কাজ হাতে নেওয়া:

অনেকেই আছেন, যারা কোন একটা বিষয়ে কিছু না জেনেই কাজ হাতে নিয়ে ফেলেন। আপনার হাতে কাজ এসেছে, আর তাই করতে হবে এমনটা মনে করবেন না। এতে করে হিতে বিপরিত হতে পারে। কাজ একবার লেজে-গোবরে হয়ে গেলে ঐ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কোন দিন কাজ পাবেন না, এটা মাথায় রাখতে হবে। তাই আগে কাজ শিখুন, পরে কাজ করুন। কাজ আসলেই হাতে নিবেন না। কিছু টাকার থেকে রেপুটেশন অনেক বড় বিষয়।

mustafiz:
Good information.  We should try to overcome it.

Sharifur Rahman:
Informative post, new photographer must be follow this rules.

fatema nusrat chowdhury:
Very informative post. Thank you for sharing

Mahiuddin Ahmed:
Thanks for sharing.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version