যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী দীর্ঘ পরিসরে পর্যবেক্ষণ অভিযান চালানোর জন্য গোপনে এমন এক ধরনের চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) বানাচ্ছে যেটা নিঃশব্দে চলাচলে সক্ষম হবে।
শিল্প ম্যাগাজিন এভিয়েশন উইক শুক্রবার জানায়, ২০১৫ সাল নাগাদ এ ধরনের ড্রোন নিয়ে অভিযানে নামতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
পত্রিকাটি আরো জানায়, আরকিউ-১৮০ নামের ড্রোনটি নিয়ে বর্তমানে নেভাদার গ্রুম লেকে সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এটা সেই কুখ্যাত ‘এরিয়া ৫১’ যেখানে ১৯৫০ এর দশকের শেষ দিকে বিমানবাহিনী ইউ২ গোয়েন্দা বিমানের পরীক্ষা চালিয়েছিলো।
এএফপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিমানবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নতুন এই এয়ারক্র্যাফ্টটি নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানি তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়ছে। এই কোম্পানিটিই গ্লোবাল হকআই ও এক্স-৪৭বি ড্রোন তৈরি করেছিল।
এভিয়েশন উইক জানায়, খুব সম্ভবত ২০০৮ সালে দুইশো কোটি মার্কিন ডলারের এক গোপন চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি সর্বশেষ এই ড্রোনটির উন্নতির কাজ শুরু করে।
ম্যাগাজিনটি আরো জানায়, “এর আকার ও সহনশীলতা গ্লোবাল হকআইয়ের মতো। এটি ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় উড়তে এবং দুই হাজার কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করতে পারবে।“
“মূলত গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিদর্শন অভিযানে কাজে লাগানোর জন্য ড্রোনটির আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু এটা ইলেকট্রনিক হামলা অভিযানেও কাজ করতে সক্ষম।“
চালকবিহীন এয়ারক্র্যাফ্টের প্রথম সংস্করনে রয়েছে প্রচণ্ড শব্দে চলা রেপার ও গ্লোবাল হকআই যেগুলো আফগানিস্তান ও ইরাকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু যেসব শক্র অঞ্চলের শক্তিশালী অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট প্রযুক্তি রয়েছে সেখানে এই ধরনের ড্রোন খুব বেশি কার্যকর নয় বলেই বিবেচনা করা হয়।
এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ধীরে ধীরে নিঃশব্দ ড্রোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে যাতে তারা নিরাপদে শত্রু অঞ্চল পেরিয়ে আসতে পারে।
Ref: bdnews24.com