বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের এখন পর্যন্ত সেরা ছবিটি দেখার জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। একটি বায়ুমেঘের সঙ্গে সংঘর্ষকালে ‘স্যাগিটারিয়াস এ*’ নামের কৃষ্ণগহ্বরের ওই অবিশ্বাস্য ছবিটি দৃশ্যমান হবে। তখন ছায়াপথে দফায় দফায় আতশবাজির মতো অতি উজ্জ্বল আলোকরাশি ছড়িয়ে পড়ার মতো ব্যাপার ঘটবে। পৃথিবীর চেয়ে তিন গুণ বেশি ভরের বায়ুমেঘটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জি-টু’। এটি বর্তমানে নিজ গতিপথ ধরে এগিয়ে চলেছে। জার্মানির একদল জ্যোতির্বিদ তিন বছর আগে প্রথমবারের মতো বায়ুমেঘটি শনাক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে আগামী মার্চের কোনো এক পর্যায়ে বায়ুমেঘটির ওই কাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ ঘটবে। দৃশ্যটি পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণগহ্বরে মহাকর্ষীয় প্রতিক্রিয়া এবং বিমুক্ত শক্তি সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জন মিলার বলেন, কৃষ্ণগহ্বরটি আকস্মিক ১০ হাজার গুণ উজ্জ্বলতর হয়ে উঠবে। তবে তার প্রতিক্রিয়া খুব বেশি হবে না। যদি এটি ‘জি-টুর’ কিছু অংশ গ্রাস করে তখন আমরা কৃষ্ণগহ্বরের আকর্ষণ ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাব। ইনডিপেনডেন্ট।