সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত

Author Topic: সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত  (Read 2558 times)

Offline shilpi1

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 135
    • View Profile
সালাম আরবী শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোআ, আরাম, আনন্দ ইত্যাদি।

সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামী অভিবাদন। আল্লাহ তা’য়ালা সর্বপ্রথম আদমকে (আ.) সালামের শিক্ষা দেন। হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তা’য়ালা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন।

আসসালামু আলাইকুম মানে আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেওয়া নবীজি  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর এর উত্তর দেওয়া অবশ্যকরণীয়। হাদিসে রয়েছে, একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের দেখা হলে কথা বার্তার আগে সালাম দিতে হবে। সালামের ফজিলত অনেক। প্রথমত সালাম দেওয়া ও সালামের উত্তর (ওয়ালাইকুমুস সালাম) দেওয়া সুন্নত। মেশকাতে বর্নিত আছে, একবার এক ব্যক্তি রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। তখন তিনি বললেন, লোকটির জন্য ১০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন, ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল্লাহর রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জওয়াব দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন ওয়া বারাকাতুহু। রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তারও জওয়াব দিয়ে বললেন, লোকটির জন্য ৩০টি নেকি লেখা হয়েছে। সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন, যখন দু’জন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সালামের দ্বারা পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়। সর্বত্র সালামের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন।