Successful in Outsourcing

Author Topic: Successful in Outsourcing  (Read 3557 times)

Offline Badshah Mamun

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1997
    • View Profile
    • Daffodil International University
Successful in Outsourcing
« on: May 02, 2014, 08:54:52 PM »
আউটসোর্সিংয়ে সফল তাঁরা

অনলাইনে বাইরের কাজ করে আয় করা—তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যার পোশাকি নাম আউটসোর্সিং। কয়েক বছর হলো বাংলাদেশের তরুণেরা সফলভাবে এ কাজে যুক্ত হচ্ছেন। নানা পরিসংখ্যানের তথ্য হলো, দেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার তরুণ মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আউটসোর্সিংয়ে। অনিয়মিতভাবে যুক্ত আছেন আরও অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তির এ খাতে উৎসাহ দিতে ২০১১ সাল থেকে আউটসোর্সিং পুরস্কার দিচ্ছে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। চলতি বছরের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১৩ এপ্রিল। পুরস্কার পাওয়া সফল কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে আজকের আয়োজন। লিখেছেন—রাহিতুল ইসলাম ও মো. রাফাত জামিল

আউটসোর্সিং করার জন্য জানতে হবে
সুলতানা পারভীন
সুলতানা পারভীনপ্রায় দুই বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন চট্টগ্রামের মেয়ে সুলতানা পারভীন। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। পত্রপত্রিকায় আউটসোর্সিংয়ে অনেকের সাফল্য দেখেই কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। ‘তাই বিকন আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের ওপর একটি কোর্স করলাম। পরে ২০১২-এর ডিসম্বরে প্রথম কাজ শুরু করি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) নিয়ে।’ বললেন সুলতানা পারভীন।

এখন অবশ্য এসইও করেন না, রেসিপি, ব্লগ লেখার কাজ করছেন তিনি। ব্লগ এবং বিভিন্ন পর্যালোচনা লিখে থাকেন ফরমায়েশ মতো। ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন প্রতি মাসে। অ্যামাজন থেকে তাঁর ই-বুকও বের হয়েছে। দুই ছেলেমেয়ে তাঁর। বললেন, ‘আসলে অনেকে বলে আউটসোর্সিং করতে গেলে বেশি কিছু জানা লাগে না। বিষয়টা এমন না। অবশ্যই জানা দরকার। কারণ ইংরেজি এবং যে বিষয়ের ওপর কাজ করতে চান, সেটির ওপর দক্ষতা থাকতে হবে।’

নিশ্চিত হোক ইন্টারনেট সংযোগ
প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা
প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাপ্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ২০১১ সালের ডিসেম্বরে রাঙামাটি শহরে বসে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। প্রথমে হাব পেজ ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং-সম্পর্কিত বিষয়ে অনুচ্ছেদ লেখা, তারপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই করছেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ। এ কাজে অনুপ্রাণিত করেছেন গ্রামের অনেককে। বর্তমানে ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার এবং ইল্যান্স ডটকমের মাধ্যমে ওয়েব বিপণনের কাজ করছেন। এখন দল বানিয়ে কাজ করছেন। প্রতি মাসে আয় করছেন ৩৮ হাজার টাকা করে। ইন্টারনেট সংযোগের বিড়ম্বনা এড়াতে নিজের দলবল নিয়ে চলে এসেছেন চট্টগ্রামে। প্রতুল এবার রাঙামাটি জেলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতুল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমাদের এখানে ইন্টারনেট সংযোগের গতি অনেক ধীর, সব সময় সংযোগ থাকেও না। রাঙামাটির মতো জেলায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা গেলে এখানে বসেই অনেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবে।’

সততা ও নিয়মানুবর্তিতা থাকতে হবে
জি এম তাসনিম আলম
জি এম তাসনিম আলম২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ শুরু করেন তাসনিম আলম। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইফোনের অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) নির্মাতা হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ওডেস্কের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ।

মুঠোফোনের অ্যাপলিকেশন তৈরি করেন তাসনিম। ওডেস্কের মাধ্যমেই বেশি কাজ পান। প্রথমে একা শুরু করলেও বর্তমানে দল গঠন করেছেন। দলে আছেন ডিজাইনার এবং প্রোগ্রামার। প্রতি মাসে আয় করছেন দুই লাখ টাকার বেশি। তিনি বলেন, কাজের মধ্যে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা থাকতে হবে। যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ নেওয়া উচিত। কাজ নেওয়ার সময় ঠিকমতো বুঝে নিতে হবে, তাহলে দুপক্ষের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক ও আস্থার জায়গা সৃষ্টি হবে।

চাই দক্ষতা ও ধৈর্য
আনিসুল ইসলাম
আনিসুল ইসলামএসইও ও অনলাইন বিপণন বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুল ইসলাম। ২০১২ সালে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশলে স্নাতক আনিসুল পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতা করতেন। নিজে উদ্যোগী হয়ে ২০১০ সাল থেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর এক বছর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফরচুন টেক নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি চালু করেন। বর্তমানে তিনি কোম্পানি নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আনিসুল এখন প্রতি মাসে পাঁচ হাজার ডলার আয় করেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কাজ করতে চান প্রথমত ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য ছাড়া আউটসোর্সিং পেশা সম্ভব হবে না। কোন বিষয়ের ওপর কাজ করবেন তার ওপর দক্ষতা থাকতে হবে।’

শেয়ার ব্যবসার লোকসান পুষিয়ে নিতে
শামসুল আলম
শামসুল আলমশামসুল আলম পেশায় একজন ব্যাংকার, পাশাপাশি করতেন শেয়ার ব্যবসা। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ২৫ লাখ টাকা লোকসান হয় তাঁর। বাড়তি আয়ের মাধ্যমে ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু করেন আউটসোর্সিং। প্রথম কিছুদিন সময় নেন কাজটা বোঝার জন্য। ২০১১ সালের শেষ সময় থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডেটা এন্ট্রি ও গবেষণাধর্মী কাজ করতে শুরু করেন। এ কাজে পার করেছেন আড়াই বছরেরও বেশি সময়। শেয়ার ব্যবসার জন্য নেওয়া ব্যাংক ঋণের প্রায় পুরোটাই শোধ করেছেন ইতিমধ্যে। এখন শামসুল আলমের আয় প্রতি মাসে দুই লাখ টাকারও বেশি।
গড়ে তুলেছেন ‘ওয়েফটি’ নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সাতজন তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমি এই কাজটাকে আউটসোর্সিং কিংবা ফ্রিল্যান্সিং বলতে চাই না, এটা আসলে অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার একটি বিশাল ক্ষেত্র।’

পেপ্যাল থাকলে সুবিধা হতো বেশি
আবদুর রাজ্জাক
আবদুর রাজ্জাক২০১২ সালে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং, আর সেটাও বগুড়ায় বসে। কাজটা বুঝে উঠতে সময় লেগেছে, ২০১৩ সালে বেড়ে গেছে কাজের পরিধি। আড়াই বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছেন বহুদূর, এখন দুজনে মিলে সব কাজ দেখাশোনা করেন। গ্রাফিকস নিয়েই কাজ তাঁর। এনভাটো ডটকমে বিক্রি করেন নিজের তৈরি গ্রাফিকস ডিজাইন। গড়ে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। প্রতি মাসে আয় করছেন সাত লাখ টাকার বেশি।
‘উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকায় আসি। একটা কম্পিউটার গ্রাফিকস প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শুরু হয়। এরপর একজন বড় ভাইয়ের কাছে শুনি আউটসোর্সিংয়ের কথা।’ আবদুর রাজ্জাকের শুরুটা এভাবেই। আউটসোর্সিং এখন তাঁর পেশা হয়ে গেছে। আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আমাদের দেশে পেপ্যালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুবিধা না থাকার কারণে নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কাজ করতে পারছি না। পেপ্যাল থাকলে সুবিধা হতো আমাদের।’ নিজে যেমন ভালো করছেন আউটসোর্সিংয়ে তেমনি বগুড়ায় তরুণদের দিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ।

শুধু টাকা আয়ের জন্য কাজ করি না
মাহফুজা সেলিম
মাহফুজা সেলিমঢাকা মিরপুর বাঙলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ছেন মাহফুজা সেলিম। কম্পিউটার গ্রাফিকস তাঁর ভালো লাগে। তাই একটি কোর্স করেছিলেন তিনি। বললেন, ‘একদিন আমার এক বান্ধবী পরামর্শ দিল ফ্রিল্যান্সিং করার। ২০১১-এর জানুয়ারিতে ওডেস্কে কাজ শুরু করি। ধীরে ধীরে কাজের গতি বাড়তে থাকে।’
বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। ‘তবে শুধু টাকা আয়ের জন্য আউটসোর্সিং করি না। এটুকু মাথায় রেখে কাজ করি, আমি একজন বাংলাদেশি। আর আমি কাজ করছি বাইরের বায়ারদের সঙ্গে, আমার পরিচিতির সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা আছে।’

শখ থেকেই শুরু
নূর মোহাম্মদ
নূর মোহাম্মদ২০০৭ সালে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন নূর মোহাম্মদ। কাজ করেন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে। ফ্রিল্যান্সার ডটকমেই মূলত কাজ করেন তিনি। প্রথমে একা শুরু করলেও বর্তমানে ১৫ জনের একটি দল আছে তাঁর। মাসিক আয় এক লাখ টাকা প্রায়। তিনি বলেন, ‘শখ থেকেই এ কাজের শুরু। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসে না। অনলাইন থেকে বিভিন্ন বিষয়সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও টিউটোরিয়াল দেখেই কাজটা আয়ত্তে এনেছি। অনলাইনে অনেক ডিজাইন কমিউনিটি আছে, যাদের করা নানা রকম ডিজাইন আমাকে এই কাজে আসতে উৎসাহিত করেছে।’ নূর মোহাম্মদ নিজে করেন ওয়েব ডিজাইনের কাজ।

চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং ভালো
ইয়াসির আরাফাত
ইয়াসির আরাফাতদুই বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন ইয়াসির আরাফাত। ওডেস্ক, ইল্যান্স ও সরাসরি বায়ারের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিডাস জেড-টেকনোলজি’ ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে আছে অংশীদারত্ব। মূলত প্রোগ্রামিং করেন, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজই বেশি করেন। প্রতি মাসে আয় করেন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। নিজের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। ‘সবাইকে বুঝতে হবে চাকরি করার চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা ভালো। এখানে স্বাধীন মনে কাজ করা যায়।’ বললেন ইয়াসির আরাফাত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ আনেক ভালো বলে তাঁর ধারণা। এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে—এমনটাই ভাবেন ইয়াসির।

বিষয়টি ধৈর্যের
সায়েমা মুহিত
সায়েমা মুহিতঢাকা সিটি কলেজ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক পড়ার সময় আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন সায়েমা মুহিত পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১১ সালে প্রথম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ শুরু করেছেন তিনি। স্বামী মহিউদ্দিন মুহিতও আউটসোর্সিংয়ে আছেন, গত বছর বেসিস পুরস্কার পেয়েছেন।
সংসার দেখাশোনার বাইরে পুরো সময় আউটসোর্সিং করেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে সায়েমা সবার বড়। বর্তমানে তিনি ১৫ ঘণ্টা করে কাজ করেন, এখন সায়েমার প্রতি মাসে আয় এক লাখ টাকার বেশি। তিনি বলেন, ‘আউটসোর্সিং বিষয়টি ধৈর্যের। মেয়েদের উদ্দেশে বলব, বাইরে চাকরি করার চেয়ে ঘরে বসে আউটসোর্সিং করা অনেক ভালো।’

সম্মিলিতভাবে কাজ করার বড় ক্ষেত্র
মহানন্দ সরকার
মহানন্দ সরকারতরুণদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছেন ৩৮ বছর বয়সী মহানন্দ সরকার। একসময় চাকরির পাশাপাশি কাজ করতেন। পরে চার হাজার ডলারের একটা বড় কাজ পেয়ে যান। কয়েকজন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলেন। সবাই মিলে শেষ করেন প্রকল্পটি।
এর পর থেকেই শুরু। চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন এখন। দুই বছর ধরে করছেন এই কাজ। ইল্যান্স ও সরাসরি বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন তিনি। এসব প্রকল্পের গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ করেন। প্রতি মাসে আয় এক লাখ টাকা। তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিনা মূল্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেন।
তিনি বলেন, যেকোনো পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং ভালো ইংরেজি জানতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করার একটা বড় ক্ষেত্র আউটসোর্সিং।

রপ্ত করতে লাগে ছয় মাস
শাকিল হোসাইন
শাকিল হোসাইনঠাকুরগাঁও জেলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন শাকিল হোসাইন। ২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রতি মাসে আয় ৩০ হাজার টাকার মতো। মাইক্রো ওয়ার্কস এবং ওডেক্সের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করেন তিনি।
শাকিল আগে চাকরি করতেন একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। প্রথমদিকে কিছু বাধা ছিল, সেগুলো কাটিয়ে উঠেছেন। জানালেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কাজটা বুঝে নেওয়া এবং বুঝিয়ে দেওয়াই বড় একটা ব্যাপার। বড়জোর ছয় মাস কিংবা এক বছর লাগে এই কাজটি রপ্ত করতে।

দক্ষ হলে সফলতা আসবে
আবু সালেহ মো. কায়সার
আবু সালেহ মো. কায়সারশিক্ষকতা ছেড়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেছেন আবু সালেহ মো. কায়সার। কাজ করছেন প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল। মুঠোফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল ও এসএমএস ব্লক করার একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন তিনি। ছেড়ে দিয়েছেন অনলাইন বাজারে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে এ অ্যাপ জনপ্রিয়। কল অ্যান্ড এসএমএস ব্লকার প্রো নামের এ অ্যাপ থেকে কায়সারের আয় হয় মাসে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা। তিনি বলেন, এই কাজের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করা যায়। কাজটা করার জন্য একটু দক্ষ হতে হবে, তবেই আসবে সফলতা।

আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ
ওয়েব অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ। ২০০৬ সালে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক হয়ে ঢাকার একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। চাকরির পাশাপাশি ২০১০ সালে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং পেশা। ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন নিজ জেলা রাজশাহীতে। পুরোপুরিভাবেই শুরু করেন ফ্রিল্যান্স। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে আরও দুই বন্ধু নিয়ে নিজেই রাজশাহীতে আউটসোর্সিং কোম্পানি চালু করছেন। আবদুল্লাহ আল মুহাম্মাদ বলেন, ‘ঢাকায় সফটওয়্যার কোম্পানিতে খারাপ ছিলাম বিষয়টা এমন নয়, ভালোই ছিলাম। ওখানেও আমি ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরি নিয়ে কাজ করতাম। অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু এখন আমি নিজ বাড়িতে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করছি। এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।’


Source: Daily Prothom Alo (April 18, 2014)
Md. Abdullah-Al-Mamun (Badshah)
Senior Assistant Director
Daffodil International University
01811-458850
cmoffice@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd

www.fb.com/badshahmamun.ju
www.linkedin.com/in/badshahmamun
www.twitter.com/badshahmamun

Offline Nusrat Nargis

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 361
    • View Profile
Re: Successful in Outsourcing
« Reply #1 on: May 03, 2014, 05:32:59 PM »
Nice post.
Nusrat Nargis

Assistant Professor
Department of Business Administration
Daffodil International University