ই-মেইল। বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের খুব পরিচিত একটি শব্দ। চাইলেই যেকেউ যেকোনো সময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। শুরুর দিকে ব্যাপারটা কিন্তু এমন ছিল না। তখন একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস পাওয়া শুধু কষ্টসাধ্যই ছিল না, গুনতে হতো পকেটের অনেক টাকা। আইএসপিনির্ভর সেসব ই-মেইলের ইনবক্স সব জায়গা থেকে ব্যবহার করাও যেত না। কারণ তখনও ওয়েবমেইল সেবা চালু হয়নি। ই -মেইল ব্যবহার করতে হতো নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার দিয়ে। এই ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারগুলো সাধারণত আইএসপি থেকে সরবরাহ করা হতো। অপরদিকে ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল হলো আমরা বর্তমানে সাধারণত যে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করি সেটি। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ই-মেইলে লগইন করে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করার নাম ওয়েবমেইল। প্রথম উল্লেখযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং বিনামূল্যে ওয়েবমেইল সেবা ছিল ১৯৯৬-এর হটমেইল। তবে এর আগে ১৯৯৪-৯৫ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মাঝে ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত সোরেন ভাজরুমের ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ মেইল’, ১৯৯৫ সালের ৩০ মার্চে প্রদর্শিত লুকা মানুনজার ‘ওয়েবমেইল’, ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে প্রদর্শিত রেমি ওয়েটজেলের ‘ওয়েবমেইল’ এবং ১৯৯৫ সালের ৮ আগস্ট প্রদর্শিত ম্যাট ম্যানকিনসের ‘ওয়েবেক্স’ উল্লেখযোগ্য। তবে ওয়েবমেইলকে জনপ্রিয় করতে হটমেইল ও রকেটমেইলের অবদান অনস্বীকার্য। এগুলোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল এই ই-মেইল সেবা পাওয়া যেত বিনামূল্যে।