দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।

Author Topic: দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।  (Read 2564 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
নবী করীম (সাঃ) বলেন, দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত  ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।
আর তা হচ্ছে-
১. ধোঁয়া, যা পূর্ব হ’তে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে চল্লিশ দিন বিস্তৃত থাকবে।
২. দাজ্জাল বের হবে।
৩. চতুষ্পদ জন্তু বের হবে।
৪. পশ্চিমাকাশ হ’তে সূর্য উদিত হবে।
৫. ঈসা ইবনু মারিয়াম আকাশহ’তে অবতরণ করবেন।
৬. ইয়া‘জূজ মা‘জূজ বের হবে

৭. পূর্বাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৮. পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস হবে।
১০. সবশেষে ইয়ামান হ’তে এমন এক আগুন বের হবে যা মানুষকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হওয়ার  স্থানে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, আদন (এডেন)-এর অভ্যন্তর হ’তে আগুন বের হবে। যা মানুষকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।  অপর এক বর্ণনায় দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমন বাতাস প্রবাহিত হবে, যে বাতাস কাফেরদেররে নিক্ষেপ করবে। আর বিশেষ করে ক্বিয়ামত তখনইসংঘটিত হবেযখন  যমীনে ‘আল্লাহ, আল্লাহবলার কোন মানুষ থাকবে না’। যখন মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করবে না, তাঁর দাসত্ব করবে না তখনই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। কারণ আল্লাহর যিকির ও ইবাদত হচ্ছে দুনিয়ার স্থায়ীত্বের প্রমাণ।আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার মধ্য থেকে নেকআমলকারী ব্যক্তি ওসৎ,ঈমানদার ব্যক্তিদের উঠিয়ে নিবেন এবং খারাপ ও নিকৃষ্ট মানুষের উপর ক্বিয়ামত সংঘটিত করবেন।
২. মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৩০।
৩. মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৮২।
৪. মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮৩।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুনাফিকের চিহ্ন হল তিনটি (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে। এবং (৩) আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে।’’ [সহীহুল বুখারী ৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮]

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম।’’

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, যখন মানুষ মারা যায় তখন তার আমল ও সওয়াবের ধারা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন ধরণের আমলের সওয়াব সর্বদা অব্যাহত থাকে।
১. সদকায়ে জারিয়া।
২. এমন ইলম বা জ্ঞান যার দ্বারা মানুষের কল্যাণ সাধিত হয়।
৩. সু-সন্তান। যে তার জন্য মৃত্যুর পর দুয়া করে।

[সহীহ মুসলিম]

Offline mrchawdhury

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 73
    • View Profile

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

(مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ). رواه الترمذي

“যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।”[তিরমিযি]

এ হলো কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত। অল্প আমলে অধিক সওয়াব তার জন্যই যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াব আকাঙ্খা করে। সুতরাং যে কুরআনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে, কুরআনের যথাযথ তদারকি করে না এবং তা দ্বারা উপকৃত না হয়, সে ক্ষতিগ্রস্ত। হে আল্লাহ! আমাদের হেফাজত করুন এবং নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করার তওফিক দান করুন।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?” তাঁরা (উপস্থিত সাহাবারা) বললেন, ‘‘আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম (টাকা-পয়সা) এবং কোন আসবাব-পত্র নেই।’’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন অনেক নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাজির হবে। কিন্তু এর সাথে সে এমন অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো মাল (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর অমুক (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে, অমুক (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর চাপানো হবে। অতঃপর (অন্যদের পাপের বোঝার কারণে) তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।”

[সহীহ মুসলিমঃ ২৫৮১; তিরমিযীঃ ২৪১৮; মুসনাদে আহমাদঃ ৭৯৬৯]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমার মুমিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদান নেই যখন আমি দুনিয়া থেকে তার কলিজার টুকরা[1] গ্রহণ করি, আর সে তার জন্য সওয়াবের আশা করে ধৈর্য ধারণ করে”। [বুখারি] হাদিসটি সহিহ।

কলিজার টুকরোর মত সন্তানকে মৃত্যু দিয়ে গ্রহণ করি। [সম্পাদক]

পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস, গ্রন্থঃ সহিহ হাদিসে কুদসি
অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ,হাদিস নম্বরঃ ১০৪, হাদিসের মানঃ সহিহ
Image may contain: text

Offline hassan

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 501
    • View Profile
    • Google site
Md. Arif Hassan
Assistant Professor
Department of Business Administration
Faculty of Business and Economics
Daffodil International University