(প্রিয় টেক) গ্রামীণফোনের মোবিক্যাশ সেবার প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে প্রাইম ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম ইজিক্যাশের লাইসেন্স বাতিলেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। আজ এ বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
ক্রিকেট ম্যাচ ও ট্রেনের টিকিট ক্রয়সেবা ও বিভিন্ন ইউটিলিটি (পরিষেবা) বিল পরিশোধের অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে মোবিক্যাশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আপাতত প্রচারণা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পরে প্রয়োজন হলে সেবা বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। শিগগিরই গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মোবিক্যাশের বিজ্ঞাপন দেখে মনে হচ্ছে, তারা ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা নিয়ে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে। এ কারণে আপাতত তাদের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে লাইসেন্সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ইজিক্যাশের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এক পত্রে মোবিক্যাশের মাধ্যমে গ্রামীণফোনকে তিন ধরনের সেবার অনুমোদন দেয়। এগুলো হলো— ক্রিকেট ম্যাচ ও ট্রেনের টিকিট ক্রয় এবং পরিষেবা বিল পরিশোধ। তবে এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু রেখেছে গ্রামীণফোন। মোবিক্যাশের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা, ওয়ান, ইউসিবিএল, মার্কেন্টাইল ও ইসলামী ব্যাংক। গ্রামীণফোনের সঙ্গে একটিমাত্র চুক্তির আলোকেই মোবিক্যাশের প্রায় ৫৫ হাজার এজেন্টের মাধ্যমে সেবাটি দিচ্ছে তারা, যা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালার লঙ্ঘন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রামীণফোন মোবিটাকা ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার সেবা চালুর অনুমোদন চায়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের টাকার পরিবর্তে অন্য নামে সেবা চালু করে তিন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়। গ্রামীণফোন মোবিক্যাশ নামে সেবা চালু করে তিন ধরনের সেবার অনুমোদন নিয়ে নিজেরাই হিসাব খুলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান শুরু করে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ‘অর্থসেবা’ নামে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। আর এয়ারটেল ‘এয়ারটেল মানি’র অনুমোদন চেয়েও পায়নি।
© ২০১৩ প্রিয় এলএলসি ॥ ইমেল: tech@priyo.com | ফোন: +৮৮০-২-৯১০ ১৩৫৫, , ৯১০ ১৩৫৯, +৮৮০-১১-৯৩১৭ ৬৩৫৬