মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগে ডেটা থাকে সীমিত। সেই ডেটা দ্রুত ফুরিয়ে যায় সহজেই, বিশেষ করে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সংযোগ ব্যবহার করলে। সপ্তাহ না পেরোতেই হু হু করে ফুরিয়ে যায় এক মাসের কেনা ইন্টারনেট ডেটা। এত ডেটা কীভাবে দ্রুত শেষ হচ্ছে বুঝতে না পেরে এবং নির্দিষ্ট প্যাকেজের মধ্যে ব্যবহার সীমাবদ্ধ রাখতে গিয়ে অনেক ব্যবহারকারীকে হিমশিম খেতে হয়। কিছু বিষয়ে নজর রাখলে এ সমস্যাটা এড়ানো যায়।
ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল নামানোর আগে দেখতে হবে এর আকার কত, প্যাকেজের কতটুকু ডেটা অবশিষ্ট আছে এবং সেটুকু আর কত দিন ধরে ব্যবহার করা যাবে। যেমন, গুগল প্লেস্টোর থেকে কোনো অ্যাপ নামানোর আগেই Details অংশে অ্যাপটির আকার দেখে নিতে পারেন। কিছু গেমস আছে, যেগুলো আকারে এক গিগাবাইটের বেশি থাকে। অনলাইনে ভিডিও দেখার কাজটাও একটু হিসেবে রাখতে হবে। ইউটিউবের যদি হাই-ডেফিনেশন (এইচডি) মানের ভিডিও দেখতে থাকেন, তাহলে ডেটা শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগবে না। এ ক্ষেত্রে ভিডিওর মান কমিয়ে বা সেটিংস থেকে শুধু ওয়াই-ফাই সংযোগে এইচডি ভিডিও দেখার ব্যবস্থা করতে পারেন।
আবার কিছু অ্যাপ বা গেম আছে, যেগুলোতে বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। ফলে নিজের অগোচরে ধারণার চেয়ে বেশি খরচ হতে থাকে ইন্টারনেট ডেটা। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনস্টল করা অ্যাপে যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করার অপশনটি চালু থাকে, তাহলেও প্রচুর ডেটা খরচ হবে। এখানেও সেটিংস মেনুর অ্যাপস অপশনে গিয়ে শুধু ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে হালনাগাদের অপশন দেখিয়ে দিতে পারেন। ফেসবুক অ্যাপের সেটিংস থেকে ভিডিও অটোপ্লে অপশনটিও বন্ধ রাখতে পারেন। গুগল ম্যাপে স্যাটেলাইট এবং ট্রাফিক ভিউ চালু না করলে বেঁচে যাবে অনেক ডেটা। মোবাইল ইন্টারনেট কম্পিউটারে ব্যবহার করলে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে অটোমেটিক আপডেটস অপশনটি বন্ধ রাখলে অজান্তে ডেটা খরচের ভয়টা থাকে না।
মাসিক ভিত্তিতে কেনা ইন্টারনেট প্যাকেজে সীমাবদ্ধ থাকতে এবং কোন কোন অ্যাপস কত ডেটা খরচ করছে, সেসব তদারকি করতে মাই ডেটা ম্যানেজার নামে চমৎকার একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ রয়েছে। এটি বিনা মূল্যে নামানো যাবে
http://goo.gl/3Hc546 ঠিকানা থেকে, আকার ৩.৭ মেগাবাইট।