এখন পর্যন্ত মানব স্টেম সেলের উৎস মানব ভ্রুন।যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় ব্যবহারে বাধা-নিষেধ রয়েছে।কিন্তু এখন মানব স্টেম সেল তৈরি সম্ভব হওয়ায় মানব ভ্রুণ থেকে স্টেম সেল নেয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না।
১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যে ক্লোন ভেড়া ডলিকে তৈরির একই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা এ সেল তৈরি করেছেন।বয়স্ক একটি সেল থেকে জেনেটিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীরা সেটিকে প্রতিস্থাপন করেছেন একটি ডিম্বানুতে, যার ডিএনএ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল আগেই।
অার এভাবেই তৈরি করা সম্ভব হয়েছে মানব ভ্রুণের স্টেম সেল।বিজ্ঞানাগারে তৈরি এ স্টেম সেল অনেকটাই যাদুকরী বৈশিষ্ট্যের।যা নতুন হৃদপেশী, মস্তিস্কের টিস্যু, হাড়সহ দেহের অন্যান্য ধরনের কোষ বা সেল তৈরিতে সহায়ক হবে এবং এভাবে এ থেকে একটি মানুষকে রূপ দেয়াও সম্ভব হতে পারে।
ফলে এ সেল এবং এ থেকে তৈরি হওয়া অন্য সেলগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় ব্যাপকহারে কাজে লাগানোর চেষ্টায় গতিসঞ্চার হবে।বিশেষ করে, হৃদরোগ, স্মৃতিভ্রংশ, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি মতো আরো অনেক চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত সেলগুলোকে স্টেম সেল দিয়ে বদলে দেয়ার চেষ্টা করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
তবে একই সঙ্গে এর আশঙ্কার দিকটি হচ্ছে, এতে করে অনেকগুলো ক্লোন তৈরি বা জীবিত অথবা মরা মানুষের ক্লোন তৈরির পুরনো ভয় ফিরে আসতে পারে।মানুষের ক্লোন তৈরি করা নিয়ে শঙ্কার কারণে এ সংক্রান্ত গবেষণার বিরোধিতা করে আসছে অনেকেই।
মানব স্টেম সেল তৈরি সংক্রান্ত এ গবেষণার ফল আসার আগেই এর বিরোধিতা করেছিল ‘হিউম্যান জেনেটিকস এলার্ট’।কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্লোন মানব ভ্রুণ তৈরির দীর্ঘপ্রতিক্ষীত একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বের করতে পেরে আনন্দিত সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।(bdnews24.com)