Bangladesh > BD Administration

বেতারে অশিক্ষিতদের প্রথম শ্রেণির প্রকৌশলী করা হচ্ছে

(1/1)

faruque:
বেতারে অশিক্ষিতদের প্রথম শ্রেণির প্রকৌশলী করা হচ্ছে

পিএসসির পরোয়া না করে পদোন্নতির আয়োজন

জুলহাস মিয়া। চাকরি করেন বাংলাদেশ বেতারে। শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনিই এখন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার পদমর্যাদায় বেতারের সহকারী প্রকৌশলী পদে উন্নীত হতে যাচ্ছেন। শুধু তিনি নন, তার মতো এরকম নবম, দশম শ্রেণি, এসএসসি ও এইচএসসি পাস ক্লিনার, চৌকিদার, ফরাস, কাঠমিস্ত্রিদের মতো নন-টেকনিক্যাল ২৭ ব্যক্তিকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী প্রকৌশলী করার জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ বেতার থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় হয়ে বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) রয়েছে। অথচ পিএসসি নিয়োগবিধি সংশোধন না করে বেতারে কোনোরকম পদোন্নতি না দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়নি বেতার ও তথ্য মন্ত্রণালয়, যার ফলে এ পদোন্নতিকে ঘিরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বেতারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে।বেতারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৯৯৪ সালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চতর বেতন স্কেল ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করা হয়। এজন্য নিয়োগবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। একই সময়ে এক-তৃতীয়াংশ পদ তৃতীয় শ্রেণিতে রাখার আদেশ জারি করা হয়। সূত্র জানায়, নিয়োগবিধি সংশোধন না করে দুই-তৃতীয়াংশ পদে নিয়োগদান সম্ভব নয় দেখে বেতার কর্তৃপক্ষ ২০ বছর ধরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগদান বন্ধ রেখেছে। এই সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি। নিয়োগবিধি সংশোধন না হওয়ার অজুহাতে দুই-তৃতীয়াংশ পদে সরাসরি নিয়োগ না হলেও, বেতারে এক-তৃতীয়াংশ পদে বিভাগীয় নন-টেকনিক্যাল ও অশিক্ষিতদের পদোন্নতি বন্ধ হয়নি। এর ফলে বিগত সময়ে পঞ্চম থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পাস নন-টেকনিক্যাল লোকজনদের ওই পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। জানা গেছে, সহকারী বেতার প্রকৌশলী পদে উন্নীত করার ক্ষেত্রে প্রচলিত শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত কৌশলে উঠিয়ে নেওয়া হয়। অথচ সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী নন-টেকনিক্যাল উপ-সহকারীদের ওই পদে পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। সূত্র জানায়, শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অন্তর্ভুক্ত করে সহকারী বেতার প্রকৌশলী পদে নিয়োগবিধি সংশোধনের জন্য পিএসসি পরামর্শ দেয় ২০১০ সালের ২২ জুলাই। একই সঙ্গে নিয়োগবিধি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির কোনো প্রস্তাব না পাঠানোর জন্য পিএসসি থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনায় পিএসসি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, ফিডার পদধারীদের নাম প্রস্তাব করে তাদের পদোন্নতির জন্য যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তাতে তাদের অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা দৃষ্টিকটুভাবে নিু পর্যায়ের, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণি পদের জন্য। তাই বর্তমান বাস্তবতায় ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগবিধি সংশোধন করা হোক। কিন্তু পিএসসির এ নির্দেশনা গত চার বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নন-টেকনিক্যাল ২৭ জনকে সহকারী প্রকৌশলী পদে বসানোর জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারের একটি প্রস্তাব পিএসসিতে পাঠিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ওই প্রস্তাবে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে। এ তথ্যানুযায়ী একজন অষ্টম শ্রেণি, একজন নবম শ্রেণি, একজন দশম শ্রেণি, ছয়জন এসএসসি, পাঁচজন এইচএসসি ও একজন হচ্ছেন ডিপ্লোমা পাস। এমন ব্যক্তিদের পদোন্নতির প্রস্তাব পিএসসির প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা বলে মনে করছেন বেতারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 See more at: http://www.bd-pratidin.com/first-page/2014/10/26/39225#sthash.CVYgWmIb.dpuf

omarsharif:
এ আর নতুন কি !!!!!!

Navigation

[0] Message Index

Go to full version