২০২৫ সালে চাকরি থাকবে তো? প্রশ্নটা বর্তমানে খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যে হারে রোবট এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ছে, তাতে আগামী ১১ বছরের মধ্যে বিশ্বে মোট চাকরিজীবীদের প্রায় ৫০ শতাংশেরই চাকরি থাকবে না। অন্তত সমীক্ষা তাই বলছে।
প্রবীণদের খেয়াল রাখাই হোক বা গাড়ি, অনেক ক্ষেত্রেই এখন রোবট এবং প্রযুক্তির ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। সেই প্রবণতা আরো বাড়ছে চাকরির ক্ষেত্রে এবং কারখানায়। এক কথায় ‘মিডল লেভেল ম্যানেজমেন্ট’ সংক্রান্ত সমস্ত পদের কাজই যন্ত্র বা যান্ত্রিক মানবরাই করে দেবে।
চীনের একটি কনসাল্টিং ফার্ম সিবিআরই জানাচ্ছে, বিশেষজ্ঞদের মত, ২০২৫-এর মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ চাকরিজীবী মানুষ কাজ হারাবেন। তবে সৃজনশীল ও রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে কাজের সংখ্যা বাড়বে। আগামী দেড় দশকের মধ্যে এই বিরাট পরিবর্তন হবে বলে অনুমান করছেন তারা।
ফাস্ট ফরওয়ার্ড ২০৩০ :
দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য ওয়ার্কপ্লেস নামে একটি সমীক্ষায় ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার দুই শ’ জন শিল্পপতি ও ক্রিয়েটিভ হেডদের নিয়ে করা এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রযুক্তির ব্যবহারে চাকরির বহু পদ হয়তো অবলুপ্ত হবে।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে সকলেই কাজ হারাবেন। তবে তাদের কাজের পদ্ধতি ও ক্ষেত্র অবশ্যই পাল্টে যাবে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আউট সোর্সিং সংস্থা ও ছোট ছোট সংস্থাগুলো।