ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছেন— পানির অপর নাম জীবন। শুধু পিপাসা মেটাতেই কি পানির দরকার হয়?
তবে পানি ব্যবহার করারও নিয়ম আছে। ভাবছেন পানি ব্যবহারের আবার নিয়ম কী? জীবাণু মুক্ত পানি পান আর পরিষ্কার পানি ব্যবহার করার থেকে আর কি বেশি জানার আছে!
আছে অনেক কিছুই। যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ও লেখক মিলা ডায়মন্ড স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পানি পান ও ব্যবহার নিয়ে নানান রকম পরামর্শ দিয়েছেন।
* তৃষ্ণা মেটাতে পানি ছাড়া আর কোনো পানীয় তেমন কার্যকর নয়। স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানি অন্য যেকোন পানীয়র তুলনায় তাড়াতাড়ি তৃষ্ণা দূর করে।
* শরীরের কোষগুলো নমনীয় রাখার জন্য পানি প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
* পানি দেহের ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং কোষে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
* পানি পান ক্ষুধা কমায়।
* মানসিক অবস্থা ভালো রাখতে এবং মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে পানি বেশ কার্যকারী।
* অতিরিক্ত পরিশ্রম করার পর শরীরের মাংসপেশী ক্লান্ত হয়ে পরে। আর পানি মাংসপেশীতে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
* পানি দেহের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
* পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
* শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পানি বেশ কার্যকর।
পানি পান করার নিয়ম
* তৃষ্ণা না মেটা পর্যন্ত পানি পান করা উচিত।
* শরীরের আদ্রতা ঠিক রাখতে সারাদিন ঘন ঘন পানি পান করতে হবে।
* প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। আর যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন এবং গরম বা শুষ্ক অঞ্চলে বাস করেন তাদের আরও বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হয়।
মস্তিষ্ক সংক্রান্ত তথ্য
মানুষের মস্তিষ্কের ৯৫ শতাংশই পানি এবং আমরা যে পরিমাণ পানি পান করি তার প্রায় ৪০ শতাংশই মস্তিষ্ক ব্যবহার করে।
শরীরে পানির পরিমাণ দুই শতাংশ কমে গেলে ডিহাইড্রেইশন হতে পারে। স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিলোপ, সহজ অংক কষতে সমস্যা, ছোট লেখা দেখতে সমস্যা হওয়া যেমন: কম্পিউটার স্ক্রিন বা মোবাইলের মেসেজ ঝাপসা দেখা— ইত্যাদি ডিহাইড্রেইশনের লক্ষণ।
যদিও ফলের জুস এবং ক্যাফেইন ছাড়া চা কিছুটা পানির চাহিদা মেটায়। তবে কফি বা অ্যালকোহল প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
আবার ফলের রসে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে যে কারণে শরীরে ডিহাইড্রইশন হতে পারে।
তাই কোন স্বাদ বা ফ্লেইভার ব্যবহার না করে পরিষ্কার পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। এতে শরীরে পানির পরিমাণও ঠিক থাকে।