আমারা সবাই কম বেশী স্বপ্ন দেখি নিজের একটা সুন্দর বাড়ি ম হবে।আর সেই বাড়ি যদি নিজ পছন্দ মত বানানো হয় তাহলেতো সোনায় সোহাগা। বাড়ি বানানোর কিছু নিয়ম আছে।নিয়ম মেনে বাড়ি বানালে ঘরে পর্যাপ্ত আলো - বাতাস চলাচলের সুযোগ পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বাসায় থাকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ। বহুতল বসত বাড়ি বানাতে হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এর নিয়ম কানুন মেনেই বাড়ির নকশা করতে হবে। অন্যথায় জীবন ও পরিবেশ দুটোই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বাড়ি বানানোর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমি কথা বলেছি একজন প্রকৌশলির সাথে তিনি বলেন বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী বাড়ি বানানোর জন্য
আগের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।প্রকৌশলি মিলন জানান বি এন বি সি ২০০৮ এর ৫১ ধারায় বাড়ি বানানো সময়
‘ম্যাক্সিমাম গ্রাউন্ড কভারেজ’ বা এম জি সি র একটি চার্ট অনুসরণ করতে হয় । এতে জমির আকার অনুযায়ী কী পরিমাণ
জায়গা ছেড়ে কয়তলা ও কত বড় ভবন নির্মান করা যাবে, সেটা উল্লেখ করা আছে।
বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে —যদি জমির পরিমাণ দুই বা তিন কাঠার মধ্যে হয় তবে জমির মালিক শতকরা ৬৭.৫ ভাগ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন । তাকে প্রায় এক
তৃতীয়াংশ জমি ছেড়ে বাড়ি বানাতে হবে।
তবে, তিনি ফ্লোর এরিয়া বেশিও বা ফার পাবেন ৩.১৫। মানে, ২কাঠা জমি x ৩.১৫ ফার = ৬.৩০ কাঠার জমির সমপরিমাণ জায়গা ভবনে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
জমির আয়তন যত বেশি ফার ও ততবেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, বহু তল ভবন র্নিমানে বিল্ডিং কোড নীতি মালার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। আমরা সবাই জানি, ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে । এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে । এজন্য বাড়ি বানানোর সময় জমির চার পাশ থেকে কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে বহুতল বাড়ি বানাতে হয়। ফলে বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে পড়ে আর
মাটি শুষে নিতে পারে। কথার এক ফাঁকে তিনি বলেন বর্তমানে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকি পূর্ণ শহর গুলোর তালিকায় রয়েছে।
এছাড়া জমির পাশে যদি ১৮ মিটার রাস্তা থাকে সেখানে যে কোনো আয়তন জমিতে ৬ ফার পাওয়া যাবে । অর্থাৎ জমি যদি ৩ কাঠাও হয়, সেই জমিতে ১৮ কাঠা জমির সম পরিমাণ জায়গা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে।
২০০৮ সালে প্রকাশিত ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে একটি বিষয় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি বানানোর আগে সরকার অনুমোদিত স্থপতির মাধ্যমে তৈরি করা নকশার অনুমতি নিতে হবে।
নির্মাণ কাজ শেষে সেই স্থপতি এই মর্মে সম্মতি জ্ঞাপন করবেন যে, তার দিক- নির্দেশনা মতো বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । বিল্ডিং কোড অনুযায়ী কোনো বিষয়ে নিয়ম কানুন অনুসরণ না করার জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি দায়ী থাকবেন।