যদিও বসন্ত এবং হেমন্তের দিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণেই অ্যালার্জির প্রকোপ বেশি হয়, কিন্তু তারপরেও শীতের সময়ে অ্যালার্জি নিয়ে থাকতে হবে সতর্ক। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কিছু অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমে গেলেও কিছু কিছু আবার বেশি দেখা যায়।
শীতের মাঝে মানুষ বাড়ি থেকে তেমন একটা বের হতে চায় না। এ কারণে বাড়ির ভেতরে থাকা অ্যালার্জেন এ সময়ে বেশি আক্রান্ত করে তাদেরকে।
সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর এবং অ্যালার্জির মাঝে পার্থক্যটা ধরতে পারেন না অনেকেই, যার ফলে ভুগতে হয় বেশ কিছুটা সময়। তাই এই শীতে সাবধান থাকুন অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী এসব উপাদান থেকে।
১/ ধুলা এবং ডাস্ট মাইট-
বিছানা, তোশক, কার্পেট এবং সোফার গদিতে লুকিয়ে থাকতে পারে একেবারে মাইক্রোস্কোপিক আকৃতির ডাস্ট মাইট। এরা মাকড়সা জাতীয় এক ধরণের পোকা যা অ্যালার্জির উদ্রেক করতে পারে।
এর জন্য নিয়মিত রৌদ্রে দিতে হবে তোশক এবং গদি। গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার যাতে মারা যায় এসব মাইট।
২/ ছত্রাক-
বাড়ির স্যাঁতস্যাঁতে এলাকাগুলোতে ছত্রাক বেশি থাকে, যেমন বাথরুম এবং স্টোররুম। বাতাসের ছড়ায় এমন ছত্রাকগুলো সৃষ্টি করতে পারে অ্যাজমার উপসর্গ এবং অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। প্রথমতই বাড়ি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকার কারণগুলো দূর করতে হবে।
স্যাঁতস্যাঁতে এলাকাগুলোতে বায়ু চলাচল বাড়াতে হবে। কোথাও পানি পড়ে থাকলে তা মুছে ভালোভাবে শুকিয়ে ফেলতে হবে। কার্পেটের নিচে, টাইলের মাঝে, শাওয়ার নেবার জায়গায় লুকিয়ে থাকে এসব ছত্রাক। এসব জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখতে হবে।
৩/ পোষা প্রাণী-
বিড়াল, কুকুর এবং পাখি জাতীয় প্রাণীর ত্বক থেকে মরা কোষ উঠে আসে, যার কারণে হতে পারে অ্যালার্জি। এ কারণে বেডরুম এবং বেশি ব্যবহার করে হয় এমন সব ঘরগুলো থেকে দূরে রাখুন পোষা প্রাণীটিকে। আর শীতকালেও সপ্তাহে অন্তত একদিন একে গোসল করিয়ে দিন।
- See more at:
http://www.bd24live.com/bangla/article/21079/index.html#sthash.wz2KhRP5.dpuf