পেটসি হেনড্রেন (বাঁয়ে) ১৯৩৩ সালে নিজের নকশা করা ‘হেলমেট’ পরে মাঠে নেমেছিলেন। সুনীল গাভাস্কারের (মাঝে) হেলমেট। গ্রাহাম ইয়ালপের সেই সাদা হেলমেট এবং স্বচ্ছ ফেস গার্ডক্রিকেট মাঠে ব্যাটসম্যানদের ব্যবহার্য সামগ্রী হেলমেট। পাঁচ আউন্স ওজনের বলের আঘাত থেকে মাথা ও মুখমণ্ডল বাঁচাতে হেলমেটের ব্যবহার অপরিহার্য। অনেক আগে থেকেই ব্যাটসম্যানরা বলের আঘাত থেকে মাথা বাঁচাতে নিজেদের উদ্ভাবিত সামগ্রী ব্যবহার করতেন।
কিন্তু সত্যিকারের ‘আধুনিক’ হেলমেট পরে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নেমেছিলেন সম্ভবত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্রাহাম ইয়ালপ। ১৯৭৭ সালের ঘটনা এটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউনে ইয়ালপের সেই উদ্যোগ পরবর্তী সময়ে যে ক্রিকেটের ব্যবহার্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে একধরনের বিপ্লব সৃষ্টি করবে, সেটা বোধ হয় তখন কেউই ভাবেননি।
ইয়ালপ সেদিন যে হেলমেটটি পরেছিলেন, সেটা তিনি তৈরি করেছিলেন একটি মোটরগাড়ি মেরামতের গ্যারেজে, সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে। ইয়ালপ পরিহিত সেই হেলমেটটি সে সময় কৌতুককর হলেও এর উপকারিতাকে কেউই অস্বীকার করতে পারেননি। এরপর সময় গড়িয়েছে, হেলমেট হয়েছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। সম্প্রতি হেলমেট পরা অবস্থায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ফিল হিউজের মৃত্যু হেলমেটের নিরাপত্তা-নকশাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। হেলমেট আবারও এসেছে আলোচনায়।