গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট মায়ের ব্যায়াম করা উচিৎ বলে চিকিৎসকেরা বলে থাকেন। অন্তত দশ মিনিট হাঁটা এবং অন্যান্য হালকা ব্যায়াম গর্ভকালীন সময়েও আপনাকে রাখবে সবল ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করবে। কিন্তু ব্যায়াম করতে গিয়ে যাতে কোন ধরণের অঘটন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। তাই এ বিষয়ে জেনে নিন দশটি টিপস্ যা গর্ভকালীন সময়ে ব্যায়াম করলেও আপনার কোন ধরণের ক্ষতি করবে না বা শিশুর কোন সমস্যা হবে না।
১। যদি গর্ভধারনের আগে থেকেই আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন তো এ ব্যাপারে আপনার জিম এক্সপার্ট কিংবা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে কথা বলে নিন যে আপনি গর্ভকালীন সময়ে কি ধরণের ব্যায়াম করবেন।
২। শুধু ব্যায়াম করলেই তো চলবে না, যতটা পরিশ্রম করছেন সেভাবে ক্যালরি গ্রহণটাও সমানভাবে জরুরী। তাই কতটা অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে সে ব্যাপারে ডাক্তারের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিন।
৩। সব ধরণের বিপদজনক ও ভারী ব্যায়াম বা খেলাধুলা থেকে এই সময় নিজেকে দূরে রাখুন।
৪। ব্যায়ামের সময়ের জন্য উপযুক্ত কাপড় বেছে নিন। গর্ভাবস্থায় কিছুটা হালকা-পাতলা, সহজেশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় এমন কাপড় পরে ব্যায়াম করাটাই শ্রেয়।
৫। হালকা ওয়ার্ম-আপ শরীরকে ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করে। তাই সরাসরি ব্যায়ামে যাবার আগে কিছুটা ওয়ার্ম-আপ সেরে নিন।
৬। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। যদি আপনি ব্যায়াম করেন কিন্তু সেই তুলনায় পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তবে তা শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। সঠিক মাত্রায় পানি পান করার ভালো একটি পন্থা হলো ব্যায়াম শুরুর পূর্বে এক গ্লাস, মাঝখানে এক গ্লাস ও ব্যায়ামের পর এক গ্লাস পানি পান করা।
৭। শরীরকে সবসময় হালকা চলাফেরার মাঝে রাখুন।
৮। কোন কিছুরই অতিরিক্ত ভালো কোন ফল আনে না। তাই অতিরিক্ত ব্যায়াম না করে পরিমিত ও স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম সারুন।
৯। ব্যায়াম শেষ করার পর নিজেকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। একের পর এক শরীরকে ব্যস্ত রাখলে তা শিশুর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শরীরকে বিশ্রামের সময় দিন।
১০। এই ব্যায়াম করাকে একটি অভ্যাসে পরিণত করুন, এতে সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পরেও নিজেকে সুস্থ সবল রাখতে পারবেন।