« on: May 21, 2015, 02:40:21 PM »
চোখের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ বদলে দিয়ে অন্ধত্ব দূর করার এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি আবিষ্কারের দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়ট শহরে স্থাপিত ওয়েইন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুও হুয়া প্যান। এ ক্ষেত্রে জুওর জাদুর কাঠি জিন বা বংশগতি চিকিৎসা। চোখের ভেতর থাকা যেকোনো সচল কোষকে ফটোরিসিপটর বা দৃশ্য ধারণক্ষম কোষে রূপান্তরের মাধ্যমে এ চিকিৎসা শুরু হবে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর জায়গায় রূপান্তরিত কোষ প্রতিস্থাপন করে নষ্ট চোখে আলো ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।
বংশগতি চিকিৎসার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত চোখের উন্নয়নে অনেক দিন ধরেই কাজ চলছে। এ কাজকে নথিবদ্ধ করা হয়েছে 'অপ্টোজেনেটিকস' নামে। এ-সংক্রান্ত অধ্যয়ন পশ্চিমের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরেই চলমান।
জুও জানান, চোখের দৃশ্য ধারণক্ষম কোষগুলো মূলত কোন ও রড নামক দুই ধরনের পদার্থের ওপর নির্ভর করে। এগুলো স্থানান্তরিত কিংবা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখের কার্যকারিতা হারিয়ে যায়। তিনি মূলত এই ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থগুলোকে কিভাবে প্রতিস্থাপন করা যায়, তা নিয়েই কাজ করছিলেন। দেখা গেছে, বংশগতি চিকিৎসার মাধ্যমে নতুন কিছু কোষকে দৃশ্য ধারণক্ষম কোষে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
শুধু অন্ধত্বের চিকিৎসা নয়, নতুন এ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের কাজ সম্পর্কে আরো পরিষ্কার হতে পারছেন গবেষকরা। অনেকের দাবি, এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে হারানো স্মৃতিও ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। এরই মধ্যে পশুপাখির ওপর এ প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগামী বছরই এর সুফল মানুষের মধ্যেও পৌঁছে দেওয়া যাবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।Source:
http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2015/05/21/224380#sthash.h3yZuQWC.dpuf
Logged
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar