'রাগ', আমরা প্রায়ই একে নিরাময় করা প্রয়োজন বলে মনে করি। কিন্তু লেখক এবং মনোবৈজ্ঞানিক এলিস বয়েস এর মতে, এটা খুব কঠিন কিছু না।
একটু চালাক হলেই, রাগ বন্ধুও হতে পারে। বয়েস নিজেও একটি সহজ চিন্তার ব্যায়াম ব্যবহার করেন তার রাগকে ভাল কাজে ব্যবহারের জন্য ।
তিনি বলেন, আমি নিজেই চিন্তা করতে পারি যে, সবচেয়ে ভাল যেমন ঘটতে পারে তেমনি সবচেয়ে খারাপ কিছুও আমার সাথে ঘটতে পারে । এমন কিছু আছে যার নেতিবাচক ফলাফল আসবে – শুধু স্বয়ংক্রিয়ভাবে এমন ধারণা রাখার ফলে আমি আমার মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি, যা এক ধরণের ইতিবাচক দিক।
এটা ২হাজার ৩শ বছর আগের প্রাচীন গ্রীস এর এক ধরণের চিন্তা ব্যায়াম।
বয়েস আরও বলেন, 'খারাপ কিছুও ঘটতে পারে এই চিন্তা আমার প্রাকৃতিক অনুরাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। সবচেয়ে খারাপ কল্পনা করার প্রবণতা আমাকে এটা ভাবতে সাহায্য করে যে, রাগ ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হতে পারে' বলেন তিনি । উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, যদি কোথাও তার যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু একটি বাসও না আসে তখন তিনি দ্রুত বিকল্প পন্থায় যাওয়া শুরু করেন। এই ধরনের কল্পনাশক্তির কারণেই তিনি বিকল্প পখ খুঁজে নিতে পারেন ।
সবচেয়ে ভাল এবং সবচেয়ে খারাপ ফলাফল চিন্তার মাধ্যমে, মানসিক প্রবণতার সঙ্গে একটি গঠনমূলক উপায়কে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন বয়েস:
এক. আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে রাগী ব্যক্তি হন, এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল কল্পনা করার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আপনার পরিকল্পনা করার প্রবণতাকে ব্যবহার করতে হবে ।
দুই. আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে আশাবাদী ব্যক্তি হন, কি ঘটতে পারে সেই প্রস্তুতি রেখে স্বপ্ন দেখার প্রবণতাকে ব্যবহার করতে হবে ।
এই দুই পদ্ধতিকেই কাজে লাগানো যেতে পারে । সব মানুষের জীবনে তার আবেগের ইতিবাচক ভূমিকা আছে বলে মনে করেন বয়েস ।