রমজান মাস হল এবাদাতের মাস, যারা আজো একবারও কুরআন খতম করতে পারেন নাই তারা হেলায় সুযোগ হারাবেন না। আমরা কতো টাইম ওয়াইস্ট করি হেলেয়-অবহেলায়। একটু টাইম সচেতন হলে এই টাইমই আমাকে অনেক কিছু দিতে পারবে। আজ দেখাব কিভাবে খুব সহজে-অল্প সময়ে কুরআন খতম করতে পারেন।
যা যা লাগবে
যেভাবে শুরু করবেন।
প্রথমে অজু করে আসেন।
“বিসমিল্লাহ” বলে শুরু করেন।
ইয়া মালিক কিভাবে এই ৬১১ পৃষ্ঠা শেষ করবেন।
নো প্রবলেম।
আমরা ৬১১ পৃষ্ঠার যে হিসাব দিলাম এটা প্রায় সব কুরানের copyএর same নাও হতে পারে বাকি ৬০০ এর কম হবে না একটাও। তাই স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে ৬০০ পৃষ্ঠা নিলাম।
এই ৬০০ পৃষ্ঠা আমার শেষ করতে ভয় লাগছে বাট যদি কিছু টিপস অবলম্বন করি তাইলে এটা অনেক সহজ। এই ৬০০ পৃষ্ঠাকে আমরা ৩০ দিয়ে ভাগ করি। কারন ৩০ দিনে রমজান মাস। তাইলে প্রতিদিনে কত আসে?
মাত্র ২০ পৃষ্ঠা তাই না !
এই ২০ পৃষ্ঠাটাও আমার জন্য কঠিন। এখন ভাগ করেন ৫ দিয়ে।
৫ দিয়ে কেন ভাগ দিবো ? কারন রমজান মাসে সবাই মুটামুটি ৫ ওয়াক্তি নামাজ পড়ে। এই নামাজের ওয়াক্ত অনুযায়ী ৫ দিয়ে ভাগ দিলাম।
উত্তর কি আসে ? ৪ তাই না !
এর মানে আপনি যদি প্রতি নামাজের আগে বা পরে ৪ পৃষ্ঠা করে পড়েন তাইলে আপনার এক মাসে একবার কুরআন খতম করতে তেমন বেগ পোহাইতে হবে না। হিসাবটা দেখেন ২০*৫*৪=৬০০ পৃষ্ঠা।
এর মানে আপনি Easily কুরআন খতম করতে পারছেন। আর যারা আমার মতো এত lazy না, যারা আরো ফাস্ট,মানে “ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস” তারা প্রতি নামাজের আগে ৪ পৃষ্ঠা আর পরে ৪ পৃষ্ঠা করে পড়লে এক মাসে ২ বার খতম করতে পারেন। আর যারা তেরাবির নামজের এক রাকাতও মিস দেন না তারা তো ৩ বার খতম করতে পারেন
আর যারা আরো ভাল তারা ৪ বার পারেন। কিভাবে জানেন ?
তারা শেষের ১০ দিনে তাহাজ্জুদের নামেজ পড়ে আরো একবার খতম করতে পারেন। {বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মসজিদে শেষের ১০ দিনে তাহাজ্জুদের সময় এক খতম করা হয়। আপনি সেখানে শরিক হতে পারেন ...