এটিএম ,প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন, যার কোন একক আবিষ্কারক নেই।বর্তমানে আমরা যেটা ব্যবহার করি,তা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা।বর্তমানের এটিএম গুলো বাস্তব-বুদ্দিসম্পন্ন কম্পিউটার,যা একজন ব্যাংকার এর মত কাজ করে এবং ব্যাংকিং সেবাকে নতুন একটি যুগে নিয়ে এসেছে।
১৯৬৭সালের কথা, স্কটিশ উদ্ভাবক জন শেফার্ড ব্যারন্স প্রথম আধুনিক এটিএম বুথ এর ধারনা দেয়।শেফার্ড সাধারণত শনিবার সকালে ব্যাংক থেকে টাকা তুলত। কিন্তু এক শনিবারে সে দেরি করে ফেলে এবং ব্যাংক ততক্ষনে বন্ধ।
সেইদিন বাথটবে বসে সে যুগান্তকারী একটি সমাধানে পৌছায়।চকলেট ভেন্ডিং মেশিনে যেমন একটি স্লটে টাকা রাখলে চকলেটের বার বের হয়ে আসে, তেমনিভাবে টাকা বের করা সম্ভব।
কিন্তু শেফার্ডের আগে আরো একজন এইরকম চিন্তাভাবনা করেছিল, পরবর্তীতে তা সফল হয়নি।তাই তার জন্য কাজটি কঠিন ছিল।
পরদিন, শেফার্ড লন্ডনে অবস্থিত বার্কলে ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে ৯০সেকেন্ড চেয়ে নেন এবং তার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
ব্যাংক তার আইডিয়া পছন্দ করে এবং বিশ্বের প্রথম শেফার্ড-ব্যারন্স এটিএম এনফিল্ড মহাসড়কের পাশে স্থাপিত করা হয় ১৯৬৭ সালের জুন মাসে।
শেফার্ড অবশ্য আধুনিক প্লাস্টিক কার্ড পছন্দ করতেন না। তিনি তেজস্ক্রিয় কালি দিয়ে মুদ্রিত কাগজের তৈরি এটিএম ব্যবহার করতেন, যা থেকে একবার সর্বোচ্চ ১০ডলার করে তোলা যেত।
শেফার্ড প্রথম পিন সিস্টেম চালু করেন। তিনি প্রথমে ছয় ডিজিট এর পিন দেন।তার স্ত্রী ছয় ডিজিট মনে রাখতে পারতেন না এবং তার পরামর্শমত শেফার্ড চার ডিজিট এর পিন চালু করেন।
বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২মিলিয়ন এটিএম বুথ আছে এবং দিনদিন এর ব্যবহার বাড়ছে।
১৯২৫সালে ভারতে জন্ম নেয়া এই ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেছেন বাংলাদেশও।