লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যা বললেন ড. জাকির

Author Topic: লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যা বললেন ড. জাকির  (Read 918 times)

Offline monirulenam

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 295
  • Test
    • View Profile
   


    ড. জাকির নায়েক অনেক বৎসর যাবৎ পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন, আর ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণাগুলো পরিষ্কার করেন। পবিত্র কোরআন, সহীহ হাদিস ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে এবং সেই সাথে যুক্তি, উক্তি ও বিজ্ঞানের সাহায্যে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তাকে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ হতে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। আজ থাকছে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে তার দেয়া বক্তৃতা।
ডঃ জাকির নায়েক বলেন, লাইলাতুল কদর ঠিক কবে হবে, সেটা যদি বলতে হয়, সেই ক্ষমতার রাত, সে ব্যাপারে সহীহ বুখারি শরীফে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এই রাত নিয়ে অনেক গবেষণা করার পর ৪০টিরও বেশি আলাদা আলাদা মতামত ব্যক্ত করেছেন। এটি নিয়ে কেউ বলেন, রমজানের প্রথম রাত, কেউ বলে সপ্তম রাত, কেউ বলে ১৯তম রাত এরকম অনেক মতামত আছে।
তিনি বলেন- কিন্তু সহীহ হাদিস বলছে, এটা হবে রমজান মাসের শেষের ১০ রাতের যে কোনো বিজোড় রাতে। এই হাদিসের উল্লেখ সহীহ বুখারির তিন নং খণ্ডে রয়েছে, মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তোমরা লাইলাতুল কদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতের বিজোড় রাতে খুজবে”। এটা হল সবচেয়ে খাঁটি।
ডঃ জাকির বলেন, এছাড়াও আরও একটি হাদিসে আছে, সহীহ বুখারির এক নং খণ্ডের বুক অফ ঈমানের ৪৯ নং আয়াতে রয়েছে, নবীজি মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, তিনি একবার বাহিরে বের হয়েছিলেন বলার জন্য যে, লাইলাতুল কদর আসলে কোন রাতে হবে? তখন তিনি দুইজন মুসলিম পুরুষকে একে-অপরের সাথে মারামারি করতে দেখলেন, ঝগড়া করতে দেখলেন। নবীজি বললেন, অমুক লোক ও অমুক লোক একে-অন্যের সাথে ঝগড়া করছিলেন। সে সময় আল্লাহ পাক নবীজির জ্ঞান নিয়ে নিলেন। তখন তিনি সবকিছু ভুলে গেলেন। তিনি বললেন, এটি হয়ত মুসলমানদের জন্য ভাল। তাই, লাইলাতুল কদরকে খোঁজ, রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে ৫ম, ৭ম বা ৯ম দিনের মধ্যে।
জাকির নায়েক আরেকটি হাদিসের বিষয়ে বলেন, লাইলাতুল কদরের রাত খুব সম্ভবত ২৬ রমজানের রাতে। কারণ, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, ২৬ রমজানের রাতে নামাজ পড়তে।

তিনি বলেন, সহীহ হাদিসে লাইলাতুল কদরের কিছু নিদর্শনের কথা বলে হয়েছে, তবে যতগুলো নিদর্শন রয়েছে, তা লাইলাতুল কদর পার হয়ে যাবার পর দেখতে পাওয়া যায়। তাহলে, এটাও আল্লাহ পাকের ইচ্ছা যে আমরা যেন না জানতে পারি। কারণ, আমরা যদি আগে জানতে পারি তাহলে আমরা শুধু সে রাতেই নামাজ পড়ব, অন্যান্য রাতে আমরা আল্লাহ সুবহানা তায়ালার ইবাদত খুব বেশি করতাম না।
ডঃ জাকির বলেন, আরেকটি সহীহ মুসলিমের হাদিসে রয়েছে, লাইলাতুল কদরের পরের দিন সূর্যের কোন কিরণ থাকবে না। দেখা যাবে একটা থালার মত। যতক্ষণ না মাথার উপরে উঠছে। লাইলাতুল কদরের রাতে চাঁদকে দেখাবে একটা থালার মত।
এছাড়া আরও একটি হাদিস বিষয়ে জাকির নায়েক বলেন, লাইলাতুল কদরের যে আলো হবে, তা খুব একটা গরম হবে না এবং ঠান্ডাও খুব একটা হবে না। এটা হবে একটা সুন্দর রাত, সুখ-শান্তির রাত। লাইলাতুল কদরের পরের দিন সূর্যটা হবে হালকা লালচে। লাইলাতুল কদরের নিদর্শণ সম্পর্কে এই টুকুই হাদিসে বলা হয়েছে, কিন্তু এই নিদর্শনগুলো দেখা যাবে, লাইলাতুল কদর পার হবার পর। তাই, আমরা আজও লাইলাতুল কদরের রাতকে খুঁজি। –সূত্র: ইন্টারনেট।

সম্পাদনা: ফাতেমা তুজ জোহুরা।