ডায়াবেটিস সম্পর্কে যে ভুল তথ্যগুলো সত্য হিসেবে জানেন

Author Topic: ডায়াবেটিস সম্পর্কে যে ভুল তথ্যগুলো সত্য হিসেবে জানেন  (Read 1115 times)

Offline Alamgir240

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 84
  • Test
    • View Profile
ডায়াবেটিস সম্পর্কে যে ভুল তথ্যগুলো সত্য হিসেবে জানেন
রোগ নিরাময় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব চাইতে প্রথম ও প্রধান যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে রোগটির সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য জেনে নেয়া। কারণ আপনার একটি ভুল তথ্যের কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। আজকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে নিন কিছু ভুল তথ্য যা সাধারণত  সত্য বলেই জানেন অনেকে। জেনে নিন মিথ্যার আড়ালের আসল সত্যগুলো।
মিথ্যা: তেতো স্বাদের খাবার রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সত্য: মূলত তেতো স্বাদের খাবারে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্যাপারটি ভুল। কারণ, যদি তেতো স্বাদের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশী থাকে তাহলে তা সুগারের মাত্রা বাড়াবে। মিথ্যা: ডায়াবেটিক রোগীরা কোনো ধরণের মিষ্টি খেতে পারবেন না। সত্য: সরাসরি চিনি খাবার থেকে দূর করে দেয়ার অর্থ এই নয় যে সকল ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ। ফ্রুক্টোজ সুগার এবং ডায়াবেটিক সুগার খাওয়া গ্রহণযোগ্য। মিথ্যা: ডায়াবেটিক রোগীদের ফলমূল খাওয়া নিষেধ। সত্য: যে সকল ফলমূলে ফাইবার ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে সেসকল ফলমূল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। তবে ফলের রস ডায়বেটিক রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়, কারণ ফল চিপে ফাইবার ফেলেই দেয়া হয়ে থাকে ফলের রসে। মিথ্যা: সকল আর্টিফিশিয়াল চিনি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। সত্য: অনেক আর্টিফিশিয়াল চিনিতে রয়েছে অ্যাস্পারটেম নামক উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় কারো জন্যই। কারণ নিয়মিত এবং অতিরিক্ত এই উপাদানটি খাওয়া হলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। মিথ্যা: ডায়াবেটিক রোগীদের বাইরের খাবার খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ। সত্য: ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই বাইরে খেতে পারবেন, যদি সেটা তার জন্য স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তৈরি হয়। মিথ্যা: ডায়াবেটিক রোগীরা ভাত খেতে পারবেন না। সত্য: সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই ভাত খেতে পারবেন, তবে তা ডায়াবেটিসের মাত্রা উপর নির্ভর করে পরিমাণ মতো। মিথ্যা: ডায়াবেটিক রোগীদের দ্রুত ওজন কমানো উচিত। সত্য: এই তথ্যটির দুটো দিক রয়েছে। প্রথমত, অতিরিক্ত ওজনের ডায়াবেটিক রোগীদের মাসে ২ কেজি ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগন। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, ক্রাশ ডায়েট করে হুট করে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলাও নিষেধ। Collected