হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র বিনা মূল্যে তোলার সময় শেষ হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে এই সেবা পেতে নির্বাচন কমিশনকে নির্ধারিত অঙ্কের ফি দিতে হবে। পরিচয়পত্র নবায়ন ও সংশোধনের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, আজ থেকে এই নিয়ম চালু হবে। ফি আদায়ের জন্য নির্বাচন কমিশন এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধন করে। বিধিমালায় জাতীয় পরিচয়পত্র তোলার ক্ষেত্রে দুই ধরনের সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ সময় ৩০ দিন এবং জরুরি ভিত্তিতে ৭ দিন বোঝানো হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের অনুকূলে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে অথবা কমিশনের নির্ধারিত নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যাবে।
তবে গতকাল সোমবার কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি টাকা দাবি করায় কমিশন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি অনুমোদন করেনি। সোনালী ব্যাংক বিনা মূল্যে সেবা দিতে রাজি হয়েছে। যেকোনো ভোটার সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা জমা দিতে পারবেন।
বর্তমানে দেশে ৯ কোটি ৬২ লাখের বেশির ভোটার রয়েছেন।
বিধিমালা অনুযায়ী, সাধারণ সময়ে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পরিচয়পত্রের নবায়ন ফি সাধারণ সময়ে ১০০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে হলে ১৫০ টাকা করে দিতে হবে।
প্রথমবার পরিচয়পত্র হারালে বা নষ্ট হলে নতুন করে তুলতে সাধারণ সময়ে ২০০ টাকা এবং জরুরিভাবে তুলতে ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে। দ্বিতীয় দফায় এমন ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩০০ ও ৫০০ টাকা এবং এরপর যতবার হারাবে ততবার যথাক্রমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
বিধিতে আরও বলা হয়েছে, প্রথমবার পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ এবং এরপর প্রতিবারের জন্য ৪০০ টাকা করে ফি দিতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত নতুন করে সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রথমবার ১০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ২০০ এবং এরপর প্রতিবারের জন্য ৩০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
সরকারি সংস্থা বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ তথ্য-উপাত্ত নিতে চাইলে এককালীন সেবা ফি ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর বার্ষিক নবায়ন ফি ১ লাখ টাকা এবং প্রতিটি তথ্য-উপাত্তের জন্য এক টাকা করে দিতে হবে।