“ অরুনোদয়ের অগ্নীস্বাক্ষী ”
রচনায়ঃ রাসেল।
অরুনোদয়ের অগ্নীকে স্বাক্ষী রেখে
আমি তোমায় কথা দিলাম,
মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে
বিশ্ব জয় করতে চললাম।
যে আলো নিয়ে চলছি পথে
বিশ্বকে জয় করতে,
প্রবল বাতাসে সে আলো নিভে গেলো
পারছিনা অন্ধকার সরাতে।
এমন সময় হঠাৎ করে
কে যেন জ্বালালো আলো,
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে বলি
এতো স্বর্ণালী স্বন্ধ্যার আলো!
অবাক হলেও এই আলো কেন
জ্বালালো আপন আলো?
আলো বললো - এতো না ভেবে তুমি এখন
সামনে এগিয়ে চলো।
চলতে চলতে পথের বাঁকে
দাঁড়িয়ে ছিলো একটি আত্মা,
সে বলে তুমি পারবে না যেতে
বানাবোই তোমাকে আজ প্রেতাত্মা।
ভয় করিনা তোমাকে আমি
এসো করি আজ যুদ্ধ,
মহাআক্রশে একটি তীর আমি
করে দিলাম তাকে বিদ্ধ।
পরাজয় বরন করে আত্মা
ছেড়ে দিল আমার রাস্তা,
সামনে এগিয়ে মনে মনে ভাবি
বিশ্ব জয় এতোই কি আজ সস্তা?
সামনে এগিয়ে দেখি বিস্ময়ে
বসে আছে বিশ্বের সব জ্ঞানী,
তারা বলেন বিশ্বের যত জ্ঞান আছে
সব তোমার হোক আজি।
অরুনোদয়ের অগ্নীস্বাক্ষীর কথা
মনে পড়ে গেলো আমার,
মহা উল্লাসে ফেটে পড়ে বলি
জয় হবেই বুঝি আমার।
জ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবীর যত জ্ঞান আছে
আজ রেখেছি তোমার জন্য,
মানব কল্যানে লাগাবে সে জ্ঞান
করবেনা বন্ধন ছিন্ন।
জ্ঞান আছে যার মস্তিস্কে
সেইতো পৃথিবীর রাজা,
জ্ঞান না থাকলে পাবে লাঞ্ছনা
আর পাবে তুমি সাজা।
সদা তুমি সত্য বলবে
দূর করবে সব অন্ধকার,
পৃথিবীটাকে স্বর্গ বানাবে
অন্যায়ে থাকবে সোচ্চার।
অবনত মস্তকে জ্ঞানীদের সব জ্ঞান
নিয়ে নিলাম আজ আমি,
পৃথিবী জয়ে জ্ঞানকে আমি
মনে করি খুব দামী।
জ্ঞান আহরণ করতে করতে আমি
যখন হলাম প্রজ্ঞাবান,
বিধাতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি
হলাম পৃথিবীতে ধাবমান।
পৃথিবী জুড়ে সকল অন্যায়কে
বন্দী করে রাখলাম,
অবারিত সুখের মহান বানী
পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিলাম।
ত্যাগ আর মহানুভবতা নিয়ে
করলাম পৃথিবীকে সুন্দর,
তাইতো আমি আজ পেয়ে গেলাম
জয়ের মহা বন্দর।
অরুনোদয়ের অগ্নীস্বাক্ষী আমার
পূরন করা হলো,
অনাবিল সুখে তাই জীবন আমার
ধন্য হয়ে গেলো।
******
রাসেল
এম.এ. (ইংরেজি)
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
********