প্রাচীন ব্যাবিলনে কোনো পণ্য বিক্রি করলে সেই পণ্যের মানে নিশ্চয়তা বিধান করতে হতো। আধুনিক দুনিয়ায় যাকে ‘গ্যারান্টি’ বলে, ব্যাবিলনের ব্যাপারটি ছিল অনেকটা তা-ই। সাধারণত জাহাজ বা নৌকা কেনার সময় ব্যাবিলনীয়রা গ্যারান্টি চাইত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ব্যাবিলনীয়রা ‘গ্যারান্টি’ চাইত দাস কেনা-বেচার ক্ষেত্রেও। কোনো দাস-দাসীকে ব্যাবিলনীয় কারও কাছে বিক্রির সময় তাই দাস-বিক্রেতারা এক মাসের গ্যারান্টি দিত। বলা থাকত, একটি মাস অন্তত ওই দাস ঠিকঠাক তার দায়িত্ব পালন করবে।
পণ্যে নিশ্চয়তার পাশাপাশি ব্যাবিলনে বিক্রীত পণ্যের ত্রুটি সারিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। সেখানকার হাম্মুরাবি আইনের একটি ধারায় বলা ছিল, ব্যাবিলনে যে পণ্য বিক্রি করা হবে, সেই পণ্যের ত্রুটি ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্ব স্বয়ং বিক্রেতার। এই আইনের ধারায় সাধারণত জাহাজ, নৌকা কেনাবেচা হতো। এসবে ত্রুটি ধরা পড়লে একটা নির্দিষ্ট সময় বিক্রেতা সেটা সারিয়ে দিতে বাধ্য থাকত। আজকের দিনের ‘ওয়ারেন্টি’র বিষয়টা তাহলে খ্রিষ্টপূর্ব সময়েই ব্যবহৃত হয়েছে!
http://www.prothom-alo.com/pachmisheli/article/644746/পণ্যে-গ্যারান্টি