Success Consciousness > Spirituality

সুপার ব্লাড মুন কেন সবাইকে আলোড়িত করে?

(1/1)

Lazminur Alam:
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ গভীর আগ্রহ নিয়ে সুপার ব্লাড মুন দেখেছে। আমাদের দেশে অবশ্য সেটা দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই বিশেষ ধরনের ও বিরল পূর্ণিমার চাঁদ এবং একই সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। কেন এই চন্দ্রগ্রহণ সবাইকে আলোড়িত করল? চন্দ্রগ্রহণ তো প্রায়ই হয়। আবার কেনই-বা এই পূর্ণিমার চাঁদ লালাভ? এসব বিষয়ে কিছু তথ্য আসুন জেনে নিই।
১. পৃথিবীর চারপাশে ঘোরার সময় কখনো যদি সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই রেখায় আসে, তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়। কারণ, সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাধা পেয়ে যে ছায়া সৃষ্টি করে, চাঁদ সেই ছায়ার মধ্যে ঢাকা পড়ে যায়। এটাই চন্দ্রগ্রহণ।
২. কিন্তু পৃথিবীর চারপাশে ঘোরার সময় চাঁদ সমান দূরত্ব রেখে আবর্তিত হয় না। কারণ, তার কক্ষপথ বৃত্তাকার নয়, উপবৃত্তাকার, ডিমের মতো। এ জন্য কখনো কখনো সে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানে এই অবস্থানকে ‘পেরিজি’ বলা হয়। যখন এই অবস্থানে আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে, তখন তাকেই বলা হয় সুপার ব্লাড মুন। এখানে ‘সুপার’ ও ‘ব্লাড’ বিশেষণ দুটি ব্যবহার করা হয়েছে। সুপার অর্থ চমৎকার বা ‘অত্যুৎকৃষ্ট’! চাঁদকে এভাবে মহিমান্বিত করার দুটি কারণ। একটি হলো সাধারণত পৃথিবীর এত কাছে চাঁদ আসে না। এখানেই এর চমৎকারত্ব। এ সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে মাত্র আড়াই লাখ মাইল দূরে থাকে। দ্বিতীয়ত, দূরত্ব কম বলে পূর্ণিমার চাঁদটি বেশি উজ্জ্বল দেখায়। এর মোহনীয় রূপ অনেক কিশোর-কিশোরীকে উদ্দীপিত করে, তাদের মনে কাব্য-প্রতিভা জন্ম নেয়!
৩. এই সময় পৃথিবীর বেশি কাছে থাকে বলে চাঁদ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বলতর দেখায়।
৪. কিন্তু ‘ব্লাড’ বিশেষণটি এল কোথা থেকে? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মি বিচ্ছুরিত (স্ক্যাটারিং) হওয়ার সময় নীল আলো শোষিত হয়ে অবশিষ্ট লালাভ অংশ চাঁদকেও কিছুটা লাল রঙে রাঙায়। এ জন্যই একে রঙিন দেখায়। ‘সুপার ব্লাড মুন’ কথাটি এসেছে এখান থেকেই।
৫. ১৯৮২ সালে একই সঙ্গে সুপার ব্লাড মুন ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী এই বিরল চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০৩৩ সালে। সেদিন হয়তো আবার বিশ্বের এক বিরাট অংশের মানুষ রোমাঞ্চিত হবে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version