মোহাম্মদ রেজাউল করিমঃ ধরুন আপনারা ৫ জন বন্ধু আছেন। ৫ জনের কাছে ৫ টা আপেল আছে। আপনাদের বলা হলো ৫ টা আপেল এক্সচেঞ্জ করতে তাহলে প্রত্যেকের কাছে কয়টা আপেল থাকবে? খুব সহজ ১ টা করে।
যদি বলা হয় ৫ টা টপিক সবাই সবাইকে শেয়ার করবে তাহলে সবাই কয়টা টপিক জানল? উত্তর ৫ টা।
আপনার প্রস্তুতি সহজবোধ্য করতে ও অধিক কারয’করী করতে গ্রুপ স্টাডি করুন। এতে আপনি সব দিক থেকেই লাভবান হবেন।
মনে রাখবেন
১) বিসিএস এ একাডেমিক রেজাল্ট খুব বেশি ফ্যাক্টর না। তবে যে ডিপার্টমেন্ট এ ফার্স্ট অথব সেকেন্ড সে তো প্রকাশ করে আলাদা এটেনশন নিতে চাইবেই।
২) প্রাইভেট পাবলিক তেমন ফ্যাক্টর না।
৩) এলাকা ও কোন ফ্যাক্টর না
২/৩ মাস পড়েই কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়না। যদি কেউ সেটা বলে তবে খুজে দেখবেন তার পিছনের ইতিহাস ভালো। সুতরাং পড়াশোনা আপনাকে করতেই হবে।
সাবজেক্ট ভিত্তিক জব আমাদের দেশে তুলনামূলক অনেক কম। তাই বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা বেশি।
তাই ম্যাথ ও বিজ্ঞানের উপর জোর দেন বেশি। কারন এটাই পার্থক্য করে বেশি লিখিত পরীক্ষায়।
সবার আগে বিনয়ী হোন, মানুষকে সম্মান করবেন। কারন তা নাহলে আপনি কেমন তা আপনার অজান্তেই ভাইভা বোর্ড এ বের হয়ে যাবে।
আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান, সৃিষ্টকতা’ তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন।
বিসিএস রহস্য-২ : ৩৬ তম বিসিএস প্রিলিতে ভালো করার উপায়।
৩৫ তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে কয়েক হাজার ক্যান্ডিডেটস বাদ পড়েছে শুধু ভুল উত্তর দাগানোর কারনে। এই লিস্টে অনেক ক্যাডার ও ছিল যারা অধিকতর ভালো ক্যাডারের আশায় পরিক্ষা দিয়েছিল। তারাও বাদ পড়েছে।
প্রশ্ন কঠিন হয়েছে ভেবে কম নাম্বার পাবে এই ভেবে অনেকেই বেশি বেশি দাগায়। এতে হিতে বিপরীত হয়। নেগিটিভ মার্ক্স থাকার জন্য নাম্বার কমে প্রিলিতে বাদ পড়ে যায়।
আপনি যদি ১ টা সঠিক উত্তর করেন তাহলে পাচ্ছেন ১ নাম্বার।
আর যদি ১ টা ভুল করেন তাহলে আপনার নাম্বার কমে যাচ্ছে ১.৫ নাম্বার।
তাই অনুমান করে দাগিয়ে অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন।
এই বিষয়ে একটা মজার ঘটনা বলি…
আমার পরিচিত একজন ৩৫ তম প্রিলি দিয়ে আমাকে বলল, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে, না পড়েই এত ভালো পরিক্ষা দিয়ে সে অনেক খুশি। বিসিএস এত সোজা, এটা তার কাছে কোন ব্যাপার না।
দিন যায় রাত যায় কাট আপ মার্ক্স কমে, এই গ্রুপে দিন রাত পোস্ট পড়ে, ঝগড়া আর গালি গালাজ চলে তবু কাট আপ নাম্বার বাড়েনা। শত শত পিএসসি চেয়ারম্যান এই গ্রুপে একটিভ, তারাও নতুন নতুন কাটা আপ নাম্বার নিয়ে পোস্ট দেয়
আমি শুধু নীরবে সবার পোস্ট পড়ি আর হাসি।
যাই হোক, যখন প্রিলির উত্তর মোটামুটি সব বের হয়েছে, তখন আমার সেই ক্যান্ডিডেট দাগিয়েছে ১৪০ আর সঠিক উত্তর করেছে ৪০। তার মানে সে পেল _১০। অর্থাৎ পিএসসি তার কাছে ১০ নাম্বার পেল। আমি তাকে বললাম, তুমি যখন ৩৬ তম প্রিলি দিবে তখন পিএসসি ১০ নাম্বার কেটে রাখবে। সে চিন্তায় পড়ে গেল। পরে অবশ্য বললাম, এটা মজা করে বলেছি, পরের বার ভালো করে পরীক্ষা দাও।
ভুল কম করার জন্য আপনি যা করবেন–
পড়ার সময় ৪ টা অপশন দেখে পড়ার অভ্যাস বাদ, অনেকটা এ কথায় উত্তরের মত শিখুন। প্রয়োজনে লিখে লিখে পড়ুন।
যদি আপিনার মনে ৪ টা অপশন অজানা তাহলে রিস্ক নিয়ে দাগাবেননা। যদি ২টার মধ্যে কনফিউশন লাগে তাহলে আপনার মনে যেটা প্রথমে আসছিল সেটাই দিবেন। মেমরি প্রথমে সঠিক টাই লোকেট করে থাকে।
লাস্ট কথা
[ There is no short-cut way to Success ]
____ বিসিএস ক্যাডার এবং
লেকচারার, জগন্নাথ ভার্সিটি
- See more at:
http://campustimes.press/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF/#sthash.DmOghgWm.dpuf