ধূমপায়ীর সন্তানের ক্যান্সার

Author Topic: ধূমপায়ীর সন্তানের ক্যান্সার  (Read 1224 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
ধূমপায়ীদের জন্য এবার নতুন দুঃসংবাদ দিলেন বিজ্ঞানীরা। ধূমপানে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানেরও নানা ক্ষতির কথা জানিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। তবে নতুন দুঃসংবাদটি হলো ধূমপান বা তামাক সেবনে পুরুষের শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত করে অনাগত সন্তানের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (আইইএমএস) একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। তাঁদের গবেষণার ফল সম্প্রতি ‘এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যান্সার প্রিভেনশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, তামাকে এমন কিছু ক্ষুদ্র উপাদান রয়েছে, যা ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ তৈরি করতে পারে। আর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হলো শরীরের ‘অবাধ মৌল’ তৈরি ও বিষাক্ত উপাদান অপসারণের ভারসাম্যহীনতা। এর মাধ্যমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের (ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান) কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, ধূমপান বা তামাক সেবন শরীরে যে ‘অক্সিডেটিভ চাপ’ সৃষ্টি করে, তা শুক্রাণুর বংশগতির বিশুদ্ধতার (জেনেটিক ইন্টিগ্রিটি) ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে তা বন্ধ্যত্বও (প্রজনন অক্ষমতা) তৈরি করতে পারে।

আইইএমএসের আণবিক ও জেনেটিকস ল্যাবের তত্ত্বাবধায়ক ও গবেষকদলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক রিমা দাদা বলেন, ধূমপায়ী বা তামাকসেবী পুরুষের শুক্রাণুতে খুব সামান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এ ছাড়া এর ডিএনএ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ারও অভাব দেখা দেয়। এভাবে ধূমপান ‘অক্সিডেটিভ ডিএনএ ডেমেজ’কে ত্বরান্বিত করে।

দাদা জানান, গবেষণাটির জন্য ৩৩ জন ধূমপায়ী, ৩১ জন চিবিয়ে তামাক সেবনকারী ও ৪১ জন উভয় ধরনের তামাক সেবনকারী এবং সব ধরনের তামাক সেবন থেকে মুক্ত এমন ৩৩ জনসহ মোট ১৩৮ জনেরও ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখেছি, তামাক ব্যবহারকারীদের শুক্রাণু খুবই দুর্বল হয়। শুক্রাণুর ক্ষতির পরিমাণ এত ব্যাপক যে এর পুনর্গঠন অসম্ভব।’ এই নারী গবেষকের মতে, ভারতে সম্প্রতি চোখের ক্যান্সার বৃদ্ধি পাওয়ারও এটি একটি অন্যতম কারণ।

গবেষণায় আরেকটি তথ্য উল্লেখ করা হয়। আর তা হলো, তিন দশক আগে একজন বয়স্ক ভারতীয় পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ ছিল ছয় কোটি। কিন্তু বর্তমানে তা কমে দুই কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারতে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৮০ লাখ লোক বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা নিচ্ছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Source: http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2015/11/17/291480#sthash.tugzIo8d.dpuf
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar