মো. সিদ্দিকুল আলম রেজা। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র আ্যসিস্টান্ট ডিরেক্টর (কাউন্সিলিং) হিসেবে কর্মরত আছেন। তথ্যসেবা বা পরামর্শদাতা হিসেবে এই পেশায় তিনি অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি।
এই পেশাটি দিন দিন বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যাংক, বীমা, কর্পোরেট হাউস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা ছোট ও মাঝারি ধরনের যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ থাকে এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করার।
তাই আজ আমরা মো. সিদ্দিকুল আলম রেজা’র কাছে থেকে জানব এই পেশা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
ব্রেকিংনিউজ: প্রথমেই জানতে চাই আপনি এই পেশায় কতদিন আছেন?
রেজা: আমি এই পেশায় আছি প্রায় ১ যুগের বেশী সময় ধরে।
ব্রেকিংনিউজ: পেশা হিসেবে তথ্যসেবা বা পরামর্শদাতা (কাউন্সিলর) পেশাটি কিরকম?
রেজা: এটি নি:সন্দেহে ভালো এবং উপভোগ করার মত পেশা। তবে এই পেশায় কিছুটা মানসিক চাপও আছে। আর একই সাথে আছে একঘেয়েমী লাগার ব্যাপারও। তবে সব মিলিয়ে ভালো।
ব্রেকিংনিউজ: এই পেশার মুল চ্যালেঞ্জ কি?
রেজা: এই পেশার মুল চ্যালেঞ্চ হল আগত ব্যক্তির মনের চাহিদা সঠিক ভাবে নিরুপন করে, সেই অনুযায়ী সঠিক নির্দেশনা দেয়া। আর সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন ধৈর্য্য রাখা। কারন এমন হতে পারে, আগত ব্যক্তি অনাহুতই এমন সব প্রশ্ন করতে পারে যা আসলে একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। সে সব ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে সঠিক পরামর্শটি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানুষ যখন কোন কিছু জানতে আসে তখন সে অবচেতনভাবেই অনেক অবান্তর প্রশ্নও করে থাকে।
ব্রেকিংনিউজ: আমরা এই পেশাটিতে বেশীর ভাগ সময় মেয়েদেরকেই বেশী দেখি, এর পিছনে কি কোন কারন আছে?
রেজা: যেহেতু এটি একটি ডেস্ক জব, তাই মেয়েরা এই পেশাকে বেশী পছন্দ করে। অনেক ক্ষেত্রে আবার প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ইচ্ছে থাকে এই পদে মেয়েদেরকে নিয়োগ করার। আসলে অধিকাংশ মেয়েরাই শান্ত স্বভাবের এবং ধৈর্য্যশীল হয়ে থাকে। তাই এই পেশাতে তাদের চাহিদা বেশী।
ব্রেকিংনিউজ: যারা তথ্যসেবাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় তাদের জন্য আপনার কি পরামর্শ?
রেজা: যারা তথ্য সেবাকে পেশা হিসাবে নিতে চান, তাদেরকে আমার অভিনন্দন। তাদের অনেক বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। তারা আসলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একটি তথ্য ভান্ডার। প্রচুর ধৈর্য্য থাকতে হবে। সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এবং আন্তরিকতার সাথে যদি সে তথ্য সেবা প্রদান করে তাহলে সে এই পেশায় শতভাগ সফল হবে।
ব্রেকিংনিউজ: আপনাকে ধন্যবাদ
রেজা: ব্রেকিংনিউজকেও ধন্যবাদ
ব্রেকিংনিউজ/এমএএস
http://www.breakingnews.com.bd/articles/interview/breakingnews.73474.details