অলৌকিক কিংবা অতিপ্রাকৃত শব্দটার সাথে মানুষের পরিচিতি সেই সুদূর অতীত থেকেই। কারণে অকারণে, চাইতে কিংবা না চাইতেই যুক্তিহীন হাজারটা এমন ঘটনার সাথে মুখোমুখি হয়েছে মানুষ যেগুলোর কোন উত্তর আজ অব্দি মেলেনি। তবে উত্তরের অপেক্ষায় থাকেনি মানুষ। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে অতিপ্রাকৃত এসব ঘটনার কারণ কিংবা অর্থ খুঁজে বের করতে। করেছে অনেক অতিপ্রাকৃত বিষয়ের ওপর গবেষণা। চলুন জেনে নিই সম্প্রতি অতিপ্রাকৃত বিষয়ে অভিজ্ঞ গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এমনই কিছু গবেষণার কথা।
কোরাল ক্যাসল রহস্য
লাটভিয়ান অ্যামেরিকান অ্যাডওয়ার্ড লিডসকালনিনের তৈরি এই প্রাসদটিতে প্রচন্ড চৌম্বক শক্তি আর রোগ সারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা যায়। বাড়িটি তৈরির সময় কারো ভেতরে প্রবেশাধিকার ছিলনা। এমনকি তৈরি হওয়ার পরেও কাউকে জানতে দেননি অ্যাডওয়ার্ড ঠিক কী দিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়িটি। নিজের সুইট সিক্সটিনের জন্যে প্রাসাদটি নির্মান করেছেন- এ কথা বলে সবসময়েই প্রাসাদ নির্মানের পেছনের কারণ এড়িয়ে চলতেন এই রহস্যময় মানুষটি। পুরোপুরি কারো সাহায্য ছাড়া নির্মিত এই স্থাপনাটি তৈরিতে ভিনগ্রহবাসী বা অতিপ্রাকৃত শক্তিদের সাহায্য পেয়েছিলেন অ্যাডওয়ার্ড বলে মনে করেন অনেকে। এখনো সেসব শক্তির উপস্থিতি টের পাওয়া যায় প্রাসাদের ভেতরে!
কোরাল ক্যাসলে অতিপ্রাকৃত গবেষণা চালানো হয় এ বছরের ২৭ এপ্রিলে। প্যারানরমাল রিসার্চ এন্ড ইনভেস্টিগেশন স্টাডিজ বা পিআরআইএসের এই গবেষণাটিতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মিয়ামির পরিচালক ডেভিড পিয়ার্স রডরিগজ, অনুসন্ধানকারী ও মাধ্যম গেরার্ড লেইজার, ব্যবস্থাপক এরিক ভ্যান্ডেরলান এবং মনোবিদ অ্যানা এম. একেভেরি মৌরাও। তাদের সাথে ছিলেন টেলিভিশন প্রতিনিধি ড্যানিলো ক্যারেরা, রগার গনজালেজ ও ফার্নেন্দা কেলি।
১. রাতের বেলায় প্রাসাদে প্রবেশ করেন সবাই। ভিডিওটিতে কোরাল ক্যাসলের ভেতরের অংশগুলো নিয়ে একে অন্যের সাথে আলোচনা করেন তারা। পুরোটা ঘুরে দেখেন। অন্ধকার প্রাসাদের ভেতরের নানান ঘর নিয়ে মন্তব্য বেরিয়ে আসে সবার মুখ থেকে। হাতে সামান্য কিছু আলো আর ক্যামেরা ছাড়া কিছুই ছিলনা। সম্ভাব্য ভুতুড়ে স্থানগুলোতে ক্যামেরা বসানো হয় এসময়।
২. অ্যাডওয়ার্ডের শোবার ঘরে ক্যামেরা ঠিকঠাক করে লাগানোর পর সেটাকে ঘুরিয়ে রকিং চেয়ারের দিকে লাগানো হয়। প্রথম দিকটায় ক্যামেরায় কিছু না দেখা গেলেও হঠাৎ করে ক্যামেরার সামনে দিয়ে ছুটে যায় একটি আলোর গোলা। খালি চোখে বোঝা না গেলেও ধীর গতিতে গোলাটি আরো স্পষ্ট করে দেখতে পাওয়া যায়। বারবার ভিডিওটিতে পুরো দৃশ্যটি চালু করে দেখানো হয়। অদ্ভুত রকমের ঐ সাদা আলোর গোলাকে সাধারন ভাবার কোন রকম কারণই নেই। অন্ধকার ঘরটিতে সেরকম কোন আলো বা আলো আসবার পর্যাপ্ত জায়গাও ছিল না। তাহলে কি ওটা? উত্তর মেলেনা