অনেকেই হঠাৎ করে অবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় নানা চাপের কারণে এ অবসাদ আসতে পারে। এছাড়া রয়েছে নানা পরিবেশগত বিষয়ও। আপনার যদি হঠাৎ অবসাদ শুরু হয় তাহলে কারণ জেনে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করুন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. মানসিক চাপ
মানসিক নানা চাপের কারণে হঠাৎ অবসাদ আসতে পারে। মূলত মানসিক চাপের কারণে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে হৃৎস্পন্দন যেমন বাড়ে তেমন মাংসপেশির চাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসও বেড়ে যায়। আর এতেই সৃষ্টি হতে পারে অবসাদ। আর আপনার যদি এমন অবসাদ আসে তাহলে তার পেছনে কোনো মানসিক চাপ কাজ করছে কি না, খেয়াল করুন। মানসিক চাপ দূর করলে এ অবসাদ চলে যেতে পারে।
২. দূষিত পরিবেশ
বায়ু দূষণ আমাদের অজান্তেই বহু ক্ষতি করে। বায়ু দূষণ শুধু ঘরের বাইরেই যে হয়, তা নয়। এটি ঘরের ভেতরেও হতে পারে। মূলত বাইরের আবহাওয়ায় ধূলোবালি, যানবাহনের পেট্রল-ডিজেল পোড়ানো ধোঁয়া কিংবা বদ্ধ আবহাওয়ায় কম্পিউটার ও টিভিসহ নানা যন্ত্রপাতি থেকে এ দূষণ হতে পারে। আর বায়ু দূষণের কারণে শুধু ফুসফুসের নানা রোগই যে হয় তা নয়, এতে শরীরের কর্মক্ষমতা নষ্ট হয় এবং অবসাদে আক্রান্ত হয় মানুষ।
৩. রক্তস্বল্পতা
রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে দেহকে সচল রাখে। আর অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা হলে দেহে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয়। এতে ফুসফুস থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হিমোগ্লোবিন পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অনেকেই অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে।
৪. বিষণ্ণতা
মানসিক একটি রোগ বিষণ্ণতা। এ রোগের কারণে অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। মূলত মানসিক সমস্যার কারণে দেহের উদ্যমের অভাব দেখা দেয়। আর এতেই অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষণ্ণতা দূর করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আর বিষণ্ণতা দূর হলে অবসাদও দূর হতে পারে।
৫. ক্রনিক অবসাদ
সাধারণ অবসাদ ছাড়াও নানা শারীরিক কারণে ক্রনিক অবসাদ হতে পারে। এক্ষেত্রে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, পুষ্টির অভাব, কোনো কোনো ভাইরাসের আক্রমণ ও হজমের সমস্যার কারণেও ক্রনিক অবসাদ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অবসাদের পাশাপাশি মাথাব্যথা, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।