ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চৌদ্দতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

Author Topic: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চৌদ্দতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  (Read 763 times)

Offline Mohammad Nazrul Islam

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 178
  • Test
    • View Profile
‘ড্যাফোডিল গ্রুপ’ শিক্ষণীয় এবং শিক্ষা বিস্তারে একটি বিশ্বস্ত নাম।কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠানের সমুন্বয়ে গড়ে উঠা এই গ্রুপটির অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই সেবাধর্মী-মানবিক প্রতিষ্ঠান, যা মানব কল্যাণে দেশ তথা আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে সু-প্রসিদ্ধ। সর্ম্পূণ একক মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ‘জীবন ও জীবিকার অন্বেষায় প্রতিষ্ঠিত এই সকল সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গুলো সত্য-নিষ্ঠ পথে, আলোর দিশারী হিসাবে ভূমিকা রেখে চলছে।

গত শনিবার এই গ্রুপের অনন্য প্রতিষ্ঠান ‘ড্যাফোডিল ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির’ চৌদ্দতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হল। প্রায় সতের হাজার ছাত্র/ছাত্রীর অংশ গ্রহণের পদচারনায় মূখরিত ছিল ‘অনন্য সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি আশুলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত স্থায়ী ক্যাম্পাসটি । সুজলা-শ্যামলা, ছায়া-ঘেরা এই ক্যাম্পাসটি সকল দিক দিয়েই অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এক-বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখছে। জ্ঞান-অন্বেষায় ডিআইইউ অতি দ্রুতগতিতে সামনের সারিতে চলে আসছে।

প্রায় বিশটির বেশী বিভাগ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সবদিক দিয়ে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর, এবং তাত্ত্বিক শিক্ষা বিস্তারে আত্ম-নিবেদীত। কাংঙ্খীত লক্ষ্য, সত্য-জ্ঞান, চারিত্রিক-দৃঢ়তা আর দিক-বেদিক বিষয়, সমুন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিহাস সৃষ্টির পথে ধাবমান।সাতটি দৃষ্টি-নন্দিত ক্যাম্পাসের সমুন্বয়ে গঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ছয়শত শিক্ষক আর আটশত কমকর্তা-কমচারী নিরলস ভাবে সেবা ও জ্ঞান দানে নিয়োজিত রয়েছে ।

চৌদ্দতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আনন্দ আয়োজনে দেশ-বরেন্য জ্ঞান-তাপসীরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তাদের জ্ঞান অর্জন ও ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণের বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

জনাব রাজু আহম্মেদ ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সহকারী অধ্যাপক তাসনিমের নান্দিক উপস্থাপনায় জ্ঞান-দীপ্ত বক্তব্য রাখেন, এ্যামিরিটাস প্রফেসর আমিনূল ইসলাম, সাবেক ভিসি জনাব লুৎফর রহমান, জ্বালাণী- পরমানু গবেষক প্রফেসর সামছুল আলম, প্রবীন প্রফেসর জহিরুল ইসলাম, প্রক্টোর গোলাম মওলা, ডঃ মাহবুবব হক মজুমদারসহ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ জ্ঞান-তাপসী শিক্ষক মন্ডলীগন।

আলোর পথের দিশারী বাংলাদেশের বিশিষ্ট উদ্দ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির স্বপ্নদ্রষ্টা ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সবুর খান তার জীবনাভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে জ্ঞান-দীপ্ত বক্তব্য রাখেন। এই সময় তিনি বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠ্য-পুস্তকের শিক্ষায় সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষার সঠিক মান নিশ্চিত করণ, আধুনিক উপকরণে যুগোপযোগী শিক্ষা দান, সর্বাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার, গ্রেজোয়েট শিক্ষিতদের চাকুরী নিশ্চিতকরণ, নৈতিক-সংকটার্কীণ দেশের জন্য একটি সু-সভ্য জাতি গঠনে আদর্শীক ভূমিকা রেখে চলছে। আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে প্রায় পচিঁশটির বেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সন্ধি-চুক্তি শর্তে শিক্ষা ও সংস্কৃতি আদান-প্রদানে একটি আর্ন্তজাতিক মানসম্মত শিক্ষাক্ষেত্র তৈরীতে ডিআইইউ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে । অদূর ভবিষ্যতে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধাসহ আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি ও যুগোপযোগী চিন্তাধারায় ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়োজিত রাখার আশা প্রকাশ করছে।

 অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি- দেশে তথা আর্ন্তজাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সফল ব্যবসায়ী, এবং সদ্য নির্বাচিত ঢাকা (উত্তর) সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আনিসুল হক ড্যাফোডিল ইন্টরন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির সবুজ-শ্যামল দৃষ্টি নন্দিত ক্যাম্পাস আর অধ্যায়ণরত দেশ-বিদেশী বিপুল সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী দেখে আনন্দিত ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সত্যিই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি আর্ন্তজাতিক মান সম্পূর্ণ দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিপুল সংখ্যক তারুণ্যের কলতানে বিমূহিত হয়ে তিনি হারিয়ে যাওয়া যৌবনের শুভ-অাগমন বার্তায় বলেন, তরুন প্রজন্মকে শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না ‘জ্ঞানকে মানুষ/মানবিক কল্যাণে প্রয়োগ করতে হবে। জ্ঞানের সু-মহান প্রাপ্তি সাথে হারিয়ে যাওয়া র্নিভর, স্মৃতি চারনকে স্বরনে আনতে হবে।

ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারনের এক পর্যায়ে তিনি নিজ মাতার ভালবাসার কাছে জীবনের সকল প্রাপ্তিকে সর্মপন করেন । আবেগ-আপ্লুত ভাবে তিনি,শিক্ষা অজর্নের সাথে ছাত্র/ছাত্রীদেরকেও সবর্দা মাতৃচরণে প্রনতি রাখার আহব্বান জানান। তিনি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সবুর খানের মাতার স্বরণে ‘রাজিয়া সুলতানা স্মৃতি বৃত্তি এবং আমিনুল হক স্মৃতি বৃত্তি’ প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে তাদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এক-মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ঝড়না ধারায় ছাত্র/ছাত্রীসহ গোটা আশুলিয়ার আকাশ-বাতাস প্লাবিত হয়ে উঠে। মাইলসের কন্ঠের সেই‘ ফিরিয়ে দাও, আমারই প্রেম তুমি ফিরিয়ে দাও / ‘This is my life’-এ কেঁপে উঠে সঙ্গীত প্রেমিদের অন্তর। তাছাড়া ক্লোজাপ তারকা ঝিলিকের ছান্দিক কন্ঠের সাথে ভেঁসে আসে হাজারো কন্ঠের হৃদয়স্পর্শী করা গান গুলো।

একক অভিনয়, নিত্য পরিবেশনসহ মন মাতানো পপ গানে অংশ গ্রহণ করে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পীগণ। এই ভাবে আনন্দ আয়োজনে আরও একটি নতুন ইতিহাসে পর্দাপন করে ড্যাফোডিল ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

পরিশেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পন্ডীত ব্যক্তিত্ব জনাব ইউসুফ এম ইসলামের এক জ্ঞানগর্ভ ব্যক্তিতায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম.এ্যাসিসষ্ট্যান্ড অফিসার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশণাল ইউনির্ভাসিটি।