সিদ্দিকুর রহমান মনে করেন, ফলাফল যা-ই হোক, বিশ্বকাপ গলফে অংশগ্রহণ তার জন্য বিশাল বড় ঘটনা।
দীর্ঘ এক মাসের সফর শেষে শনিবার দেশে ফিরেছেন সিদ্দিকুর। এই সময়ে দিল্লিতে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ও বিশ্বকাপ ছাড়াও বিশ্বকাপের আগে একটি প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট এবং বিশ্বকাপের পর ইন্দোনেশিয়ান ও হংকং ওপেনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা গলফার।
এর মধ্যে তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ। রোববার এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার গলফার বলেন, “বিশ্বকাপে খেলা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আমি এর আগে অনেকবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা করেছি। কয়েকবার কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত এবার খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার।”
“যদিও আমি খুব একটা ভালো করতে পারিনি। তবে বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। এটা ভবিষ্যতে আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক কাজে আসবে।”
বিশ্বকাপে তার লক্ষ্য ছিল সেরা বিশে থাকা। কিন্তু ৬০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫৫তম স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিদ্দিকুরকে। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারার পেছনে অনভ্যস্ত আবহাওয়া অন্যতম কারণ। মেলবোর্নের আবহাওয়া প্রতি দিন চার রকম রূপ ধারণ করে। এ ধরনের আবহওয়ায় খেলতে আমরা অভ্যস্ত নই। তাই অনেক সমস্যা হয়েছে।”
তবে মেলবোর্নে যাওয়ার আগে দিল্লিতে তিনি পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা। সেজন্য স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত সিদ্দিকুর।
তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর ৭টি টুর্নামেন্টে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। এই ৭টি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হয়েছি আমি। তাই দিল্লিতে কিছু একটা করার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আমার। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।”
“এক কথায় অসাধারণ অনুভূতি। দেশ থেকে পাওয়া অভিনন্দন, শুভেচ্ছা-বার্তায় আমি অভিভূত। এছাড়া এশিয়ার এবং এশিয়ার বাইরের অনেক খেলোয়াড়ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন এটা তোমার প্রাপ্য।”
সিদ্দিকুর এই সফরে বিশ্বকাপ সহ পাঁচটি টুর্নামেন্টে খেলেছেন। শুরুটা শিরোপা দিয়ে হলেও হংকংয়ে শেষটা হয়েছে খারাপভাবে। ‘কাট মিস’ করে দুই রাউন্ড পর বাদ পড়তে হয়েছে তাকে।
তবু সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট সিদ্দিকুর বলেন, “অসুস্থ হয়ে পড়ায় হংকংয়ে ভালো করতে পারিনি। তবে পুরো সফরের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট।”
“এখন কিছুদিন বিশ্রাম নেবো। আগামী বছর থাইল্যান্ড সফর দিয়ে আবার খেলা শুরু করবো।”