শিশু একটু বড় হয়ে যখন আধো আধো বোলে কথা বলতে শেখে তখনই মা-বাবার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় শিশুকে বিভিন্ন রকমের ছড়া আর কথা শেখাতে। এরপর স্কুলে দেবার আগে শুরু হয়ে যায় শিশুকে পড়তে শেখানোর কাজ। অনেকেই এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন যে তাঁর শিশু ঠিকমতো পড়তে পারছে না কিংবা পড়াতে আগ্রহ নেই। এই বিষয়ে কিছু তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজনঃ
শিশুর পড়তে পারার ক্ষমতাকে বিভিন্ন বয়স ও দক্ষতা অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১। প্রি-রিডার (Pre-Reader),
২। বিগিনিং রিডার (Beginning Reader) ,
৩। ইন্টারমিডিয়েট রিডার (Intermediate Reader)।
কোন পর্যায়ে আপনার সন্তান আছে তা কি করে বুঝবেন তা নিয়ে কথা বলার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আপনার সন্তান কেমন পড়ার চাপ নিতে পারবে তা কিন্তু নির্ভর করছে এই পর্যায় বোঝার উপরেই। তাই আগে ভালোভাবে পর্যায় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মন দিতে হবে।
প্রি-রিডার এর লক্ষণসমূহঃ
১। শিশু এই পর্যায়ে বই নিয়ে খেলা করতে পছন্দ করে যদিও সে জানে না এর ভেতর কি ধরণের গল্প বা লেখা রয়েছে।
২। শিশু বিভিন্ন রঙের বই এবং বইয়ের রঙ বেরঙের ছবির প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৩। পেনসিল বা কলম দিয়ে লেখার ভান করে থাকে।
সাধারণত দুই থেকে চার বছর বয়সেই এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা যায় যা থেকে মায়েরা বুঝতে পারবেন যে তাঁর সন্তান এখন পড়তে বসার উপযুক্ত হয়েছে।
বিগিনিং রিডারঃ
১। বই খুলেই ছবি দেখতে চায় এবং ছবির পেছনের গল্প জানতে আগ্রহী থাকে।
২। যেসব অক্ষর শিশু বুঝতে পারে বা চিনতে পারে তা বারবার বলতে এবং আগ্রহ নিয়ে দেখাতে চায়।
৩। যে কোন বই দেখে কোন গল্প বললে তা মনে রাখতে এবং বারবার বলতে চেষ্টা করে।
স্বাভাবিকভাবে চার থেকে ছয় বছরে শিশুদের মধ্যে এমন সব অভ্যাস লক্ষ্য করা যেতে পারে।
ইন্টারমিডিয়েট রিডারঃ
১। নিজের মতো করে পড়ে যেতে পারে মোটামুটি ভুল ছাড়াই।
২। যদি কোন দুর্বোধ বা নতুন শব্দ চোখে পরে তবে নিজে নিজে কি হবে তা বের করতে চেষ্টা করে।
৩। কোন গল্প শুনালে তা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর করতে পারে।
৪। নতুন বই কিনতে এবং পড়তে পছন্দ করে।
এই সময় শিশুরা ভালোভাবেই পড়তে পারে এবং ছয় বছরের পরের শিশুদেরই সাধারণত এই পর্যায়ে রাখা যায়।
http://www.hatihatipa.com/2015/05/24/1579/