প্রতিদিন মাত্র আধা ঘণ্টা হাঁটলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়, সেই সঙ্গে কমে কোলেস্টেরল, রক্তচাপ আর রক্তের শর্করা।
দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট ডা. রোমেল টিক্কো বলেন, “আমরা সব রকম রোগীকেই দৈনিক হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকি। রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। তাছাড়া ছোঁয়াচে নয় এমন রোগ মোকাবেলায় সবচেয়ে কার্যকরও বটে। রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার দুদিক থেকেই হাঁটা বেশ উপযোগী।”
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(আইএমএ)’য়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. কে কে আগরওয়াল বলেন, “নিতান্ত অনিচ্ছায় হোক কিংবা বাধ্যবাধকতা, যেমন- উন্মুক্ত জায়গার অভাবে হোক, স্কুল পড়ুয়া শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকল বয়সের মানুষদেরই শারীরিক পরিশ্রমের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে দিনকে দিন।”
এসব বিষয় বিবেচনায় শহুরে বাসিন্দাদের জন্য হাঁটা আরও কার্যকর সমাধান হতে পারে।
বসে থাকার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে কার্যকর উপায় হিসেবে আমেরিকায় হাঁটা বিষয়ক সংঘ বা দলগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হাঁটার কারণে বিভিন্ন আঘাত থেকে বাঁচিয়ে চলতে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন(এএইচএ) হাঁটার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলো প্রকাশ করেছে।
এএইচএ’য়ের পরামর্শ হচ্ছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য এক সপ্তাহে দেড়শ মিনিট বা তার বেশি সময় মাঝারি-মাত্রার শরীরচর্চা অথবা ৭৫ মিনিটের কঠোর শরীরচর্চা করা উচিত। এখানে দ্রুত হাঁটা মধ্যম মাত্রার এবং জগিংকে তুলনামূলক তীব্র মাত্রার পরিশ্রম হিসেবে ধরা হয়েছে।
সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ৪০ মিনিটের মাঝারি থেকে কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দেয় এএইচএ। এতে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ বিরতির পর শরীরচর্চা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে অল্প দূরত্বে হাঁটা উচিত। এরপর ধীরে ধীরে সময় ও দূরত্ব বাড়াতে হবে। হাঁটার ভঙ্গিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আঘাত এড়ানোর জন্য হাঁটার সময় মাথা ঝোঁকানো যাবে না, পেট চেপে রাখতে হবে এবং কাঁধ হতে হবে শিথিল।
নিয়মমিত হাঁটা শরীরের নানা ধরনের সমস্যা উপশমে সাহায্য করে। তাই শহুরে জীবনে ব্যস্ততার ফাঁকে প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটলে উপকার পাওয়া যাবে।