ছোট গল্পের মতোই। শেষ হয়েও শেষ নয়। বরং যেন আবারও নতুন এক শুরু। ‘প্রথম পর্ব’ নামে এক অর্থে বাছাই পর্বই খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেই পর্ব পেরিয়ে আসল রাউন্ড এবার। যার নাম সুপার টেন। কিন্তু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ যেন শেষ হলো না। নতুন করে শুরু হলো। বাংলাদেশ যে পড়েছে কঠিন এক গ্রুপে। যে গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
প্রত্যেক গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল যাবে সেমিফাইনালে। বাংলাদেশ কি পারবে সেরা দুইয়ে থাকতে? এক মাস আগে হলেও হয়তো উত্তরটা দিতে দ্বিধান্বিত হতে হতো। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে যেন নতুন এক বাংলাদেশকে চিনেছে সবাই। যে বাংলাদেশ শুধু ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও বড় দল হয়ে উঠতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে বাংলাদেশ এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টির ধাঁধার জট যেন খুলতে শুরু করেছে একে একে।
এই পর্বে বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচই পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। পরীক্ষা কঠিন, কিন্তু বাংলাদেশ এখন ভীষণ আত্মবিশ্বাসী এক ছাত্র। যে একটুও নার্ভাস নয়। তামিমও জানালেন, বাংলাদেশ প্রস্তুত, ‘আমাদের পরের পর্বটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের ম্যাচটি বিশেষ করে। আশা করি আমি এই ফর্ম সেখানে টেনে নিয়ে যেতে পারব। আমরা আমাদের সম্ভাবনা ও সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, যেকোনো কিছুই সম্ভব।’
তামিমের এই ‘যেকোনো কিছু’তেই যেন লুকিয়ে সেই প্রত্যয়, সেই স্বপ্ন। সেই আত্মবিশ্বাসও। অধিনায়ক মাশরাফি তামিমকে প্রাপ্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তুত হতে বললেন এই পর্বের জন্য, ‘পরের চারটি বড় ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। তামিমকে ধন্যবাদ, টানা তিন ম্যাচেও ও রান করে দিয়েছে। ছোটখাটো কিছু ভুল হয়েছে। কিন্তু মূল পর্বে এই ভুলগুলো করার সুযোগ নেই। কিন্তু আমরাও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছি। পারফর্ম করতে চাইলে আপনাকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে।’তামিম আর মাশরাফির কথা কী সুন্দর একই সুরে বাঁধা। ‘ভয়ডরহীন’ ক্রিকেট খেলতে পারলে তো অবশ্যই ‘যেকোনো কিছু’ই সম্ভব!