নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের নাম নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম ও নেককার লোকদের নামে রাখো। [আবু দাউদ শরীফ : ২/৬৭৬, হাদীস নং : ৪৯৫০, নাসায়ী শরীফ : ২/১২২, হাদীস নং : ৩২৬৪]
সন্তান প্রসঙ্গে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, তাদের সুন্দর নাম রাখতে হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন― ‘তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে ডাকা হবে তোমাদের নিজ নামের সঙ্গে তোমাদের পিতার নাম যুক্ত করে। কাজেই তোমরা সন্তানদের সুন্দর নাম রাখো। [আবু দাউদ শরীফ : ২/৬৭২, হাদীস নং ৪৯৪৭]
এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন― ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো, আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। [সহীহ মুসলিম : ২/২০৬, হাদীস নং : ২১৩২]
মুহাদ্দিসীনে কেরাম লেখেন― আল্লাহ শব্দের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত প্রতিটি নামই আল্লাহর কাছে প্রিয়। (যেমন, ফয়যুর রহমান, ফযলুর রহমান, আবদুল ওয়াদূদ ইত্যাদি) [আল উরফুশ শাযী আলাত তিরমিযী : ২/১১০]
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের নাম নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম ও নেককার লোকদের নামে রাখো। [আবু দাউদ শরীফ : ২/৬৭৬, হাদীস নং : ৪৯৫০, নাসায়ী শরীফ : ২/১২২, হাদীস নং : ৩২৬৪]
অন্য এক দুর্বল বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তানের নাম ‘মুহাম্মদ’ রাখবে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে সুপারিশ করবো। [মু‘জামে তবারানী]
উপরিউক্ত নির্দেশনা থেকে বুঝে আসে যে, ভালো নাম রাখাটাও সন্তানের অধিকার। আফসোসের বিষয় হলো, আজকাল মানুষ ক্রীড়াবিদ ও অভিনেতাদের নামের সঙ্গে মিলিয়ে নিজ সন্তানদের নাম রাখছে। কিছু লোকের মাথায়, নিত্য নতুন নাম রাখার ভুত সওয়ার থাকে। সে মনে করে, এমন নাম রাখবো আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে অন্য কেউ সে নাম রাখেনি। যার কারণে অনেক বিকৃত ও দুষিত নাম সমাজে প্রশিদ্ধি পেয়ে গেছে। এ ধরনের নামও পরিহার করতে হবে।
কিছু লোক এ ভ্রান্তির শিকার যে, তারা জন্মতারিখ ও দিন-ক্ষণ গণনা করে নাম রাখা ভালো মনে করে। অথচ শরীয়তে এমন কোনো মূলনীতি নেই। এটিও স্বকল্পিত সিদ্ধান্ত। জাহেলানা এই প্রথাগুলোও পরিহার করতে হবে।
প্রিয় ইসলাম